টাকার লোভে বন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ডেমরা থেকে গ্রেফতার

আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৩
0

বহুল আলোচিত ২০০৬ সালে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার এলাকায় টাকার লোভে বন্ধু শাজাহানকে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ ইসমাইল (৪২)’কে রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকা হতে বহুল আলোচিত ২০০৬ সালে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার এলাকায় টাকার লোভে বন্ধু শাজাহানকে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ ইসমাইল (৪২), পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া বাবুর্চি, সাং-নীত্ততলা, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লাকে ১৮/০৪/২০২৩ তারিখ ২০৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, পিপিএম (সেবা), বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি।

অধিনায়ক জানান, ধৃত ইসমাইল তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ২০০৬ সালে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন এলাকায় ভিকটিম শাজাহান রিক্সা কেনার জন্য বাড়ি থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে বের হয়। সে রিক্সা ক্রয়ের জন্য তার বন্ধু মোঃ কবির এবং মোঃ শাজাহানকে সঙ্গে নিয়ে যায়। ধৃত ইসমাইল কৌশলে কবিরকে অন্য একটি স্থানে পাঠিয়ে দেয়। এরই সুযোগে রিক্সা কিনতে যাওয়ার পথে ধৃত ইসমাইল ইট দিয়ে ভিকটিম শাজাহান এর মাথায় আঘাত করে।

আঘাতের ফলে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলে তার রিক্সা ক্রয়ের টাকা লুট করে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ধৃত ইসমাইল পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ভিকটিম বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার খোজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী আমেনা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত অফিসার উক্ত মামলায় মোঃ কবির এবং ইসমাইলকে আসামি করে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করে। তদন্ত শেষে কবির এবং ইসমাইল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। আসামিদ্বয় গ্রেফতার হয়ে কিছু দিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে কবির নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে থাকে এবং ইসমাইল হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করতে থাকে। উক্ত মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৬ বছর পর ২০২২ সালে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ইসমাইল এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় প্রদান করেন এবং অপর আসামি কবির নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।
ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।