ডব্লিউসিএস বিডির আয়োজনে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
0

আজ বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরিতে সারা দেশে নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ (ডব্লিউসিএস বিডি) বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত হয়েছে।

শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতায় সংস্থাটির উদ্যোগে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় শিশু ও সকল শ্রেনী পেশার মানুষদের ফ্রি হেলথ ক্যাম্পীং সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা( মাস্ক বিতরণ, ব্লাড গ্রুপিং) দেয়া হয়।

দিবসটি উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এছাড়াও পিকআপ ভ্যানে করে রাজধানীতে শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতায় প্রচারণা চালিয়েছে সংস্থাটি।

ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ও ক্যান্সার গবেষক সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, বেশির ভাগ শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। শনাক্ত করা গেলেও উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠেন। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ না থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটিক্যাল কারণ, ভাইরাস, খাবারে টক্সিনের উপস্থিতি, ক্যামিকেলস, পরিবেশগত সমস্যায় শিশুদের ক্যান্সার হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে বেশিরভাগ শিশুরই ভালো হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শিশুদের ক্যান্সার মোকাবিলায় সবার আগে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

যেহেতু প্রতিবছরই ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। তাই শিশুদের সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন পালং শাক, ব্রুকলি, ডিমের কুসুম, মটরশুটি, কলিজা, মুরগীর মাংস, কচুশাক, কলা, মিষ্টিআলু, কমলা, শালগম, দুধ, বাঁধাকপি, বরবটি, কাঠবাদাম মতো ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।

জানা যায়, শিশু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সালে চাইল্ড ক্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) কর্তৃক এ দিবসটি পালন শুরু হয়। সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও এ দিবসটির অন্যতম লক্ষ্য হল মৃত্যুহার হ্রাস করা, এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত ব্যথা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা শিশুদের দুর্দশা হ্রাস করা। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ক্যান্সার নির্ণয় করা শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ বেঁচে থাকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

উদ্ভোধনী বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবসের এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের সাধাবণ সম্পাদক এডভোকেট মো. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে স্কাউটসের উপ-কমিশনার নাজমুল হক টিটুসহ প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ মূলত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে কাজ করে। কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে। এর বাইরেও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।