ডুমুরিয়ায় ১৫টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২২
0

খুলনা ব্যুরো:
ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া গ্রামের মোরশেদ সরদারের বাড়ির বিচালির পালা থেকে শুক্রবার বিকেলে ১৫টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসাতে এ বোমা বাড়িতে রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মোরশেদ সরদার।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে; শুক্রবার বিকেলে ডুমুরিয়া থানা, রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও চেচুড়ি ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা ধামালিয়া গ্রামের মোরশেদ সরদারের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় মোরশেদ সরদারের বড় ভাই আমিনুল হক সরদার (৫০) ও ছোট ভাই মোমিন সরদার (৪৭) এর বিচালির পালা তল্লাশি করে পুলিশ ঐ বাড়ি ত্যাগ করছিলেন।

ঐ সময় মোরশেদ সরদারের স্ত্রী চুমকি বেগম (৩৮) পুলিশের উদ্দেশে বলেন স্যার আমাদের বিচালি পালাও দেখে যান। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে একটি থলে ভর্তি ১৫টি হাত বোমা উদ্ধার করেন। আজ শনিবার সকালে ঐ বাড়িতে গেলে মোরশেদ সরদার (৪২) ও মোমিন সরদার (৪৭) বলেন, শুক্রবার বিকেলে ইউপি সদস্য আঃ রশিদ বিশ্বাস ও রাতুল আমাদের বাড়িতে অবস্থান করার কথা বলে জানিয়েছিল যে, বাড়িতে পুলিশ যাবে। তখন আমরা সবাই বাড়িতে থাকি। এরপর এ ঘটনা ঘটলো।
তারা এটাকে ষড়যন্ত্র দাবি করে বলেন; আমাদের ফাঁসানোর জন্য বড়িতে এগুলো রাখা হয়েছে। অন্য একটি পক্ষের সাথে আমাদের শত্রুতা চলছে।
এ প্রসঙ্গে খান তৌহিদুজ্জামান রাতুল বলেন;
মোঃ মোরশেদ সরদার এর বাড়ির দক্ষিণ পাশের কুটার পালায় একদল দুষ্কৃতকারী ১৫ টি বোমা রেখে ৯৯৯ এ কল দিয়ে সেই চক্র ডুমুরিয়া থানা কে অবহিত করলে চেচুড়ী পুলিশ ক্যাম্প ও ডুমুরিয়া থানার ওসি তদন্ত এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। প্রশাস্যন এর নিকট আকুল আবেদন ৯৯৯ এ কলকারী কে গ্রেফতার পূর্বক সত্য ঘটনা উৎঘাটন এর মাধ্যমে সত্য উৎঘাটনের বিশেষ অনুরোধ করছি।

রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তুষার কান্তি হালদার বলেন; সংবাদ পেয়ে আমরা ১৫টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছি। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিস্ফোরক দ্রব্য নিশ্চিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া জানান, পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে বলতে পারছিনা যে এগুলো বিস্ফোরক দ্রব্য কিনা। তদন্ত চলছে। এ ব্যপারে থানায় কোন মামলা হয়নি।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী