ডুমুরিয়ার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
0

খুলনা ব্যুরো:
ডুমুরিয়া উপজেলার ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের বিশেষ খাদ্য সহায়তা ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির তালিকায় অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। অনলাইন তালিকায় বাদপড়া ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়; ডুমুরিয়া উপজেলার ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে বিশেষ খাদ্য সহায়তা ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির আওয়তায় ৫৫৭ জন হতদরিদ্র (১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল) সুফল ভোগ করেন। কিন্তু অনলাইন তালিকা খেকে ৭১জন সুফলভোগী বাদ পড়েছেন বলে জানান ডিলার ইসহাক আলী। দেড়লী গ্রামের অর্জুন হালদার, সাধন সাহা, সিরাজুল ইসলাম, রঘুনাথ হালদারসহ উপস্থিত সুফলভোগীরা জানান; আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন তালিকায় আমাদের নাম নেই।
ইউপি সদস্য অমিতেষ বালা, আরতি মহাজন, আসমা বেগম, সাহিনুর বেগম, ইকবাল মাসুদসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন; ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির অনলাইন তালিকাটি চেয়ারম্যান বাবু চৌকিদার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে করেছেন। এ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।
ইইপি সদস্য আলি আজম বলেন; ইউনিয়ন পরিষদের সকল কাজকর্মে চেয়ারম্যান বাবু অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ২-৩ জন ছাড়া কোন মেম্বার উনার কর্মকাÐ অবগত নন।
ইউপি সদস্য তুষার কান্তি মল্লিক বলেন; এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। চেয়ারম্যান বাবু চৌকিদারের মাধ্যমে লোকজন ডেকে অনলাইন তালিকা করেছেন। তারপরও আমি বাদ পড়া ব্যক্তিদের বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন পরবর্র্তীতে সংশোধনের সুয়োগ দিলে ঠিক করা যাবে।
ইউপি সদস্য মুজাহিদুল হক বলেন; ৪নং ওয়ার্ডে বিদেশ প্রবাসী মোফাজ্জেল আকুঞ্জীর নামে কার্ড ছিল। কিন্তু পওে তার স্ত্রী শাহানারা বেগমের নামে কিভাবে কার্ড হলো তা আমার বোধগম্য নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মনোজিৎ বালা বলেন; আমি কাউকে বাদ দেইনি। তারা মিথ্যা বলছে। ইউপি সদস্যরাই বাদ দিয়ে আমাকে দোষারোপ করছে। আমার পরিষদ কিভাবে চলবে সেটা আমি বুঝবো।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন; বিষয়টি শুনলাম। কিভাবে এর সমাধান করা যায় দেখবো।