ডেঙ্গুতে আরো ১৩ জনের মত্যু

আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২৩
0

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৫ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৩২৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৩২৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৯১ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৮৩৬ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার আর ঢাকার বাইরের বাসিন্দা সাতজন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই লাখ ৩৩ হাজার ৫৩১ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯০ হাজার ৫৩০ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে এক লাখ ৪৩ হাজার একজন ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৩৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৭০৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪২৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন দুই হাজার ৩৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৮০৭ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৭ হাজার ১৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৬ জন।

ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আট হাজার ৬১৭ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৬৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৭৯ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একইসাথে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারীকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।