ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে ২ বছরের সাজা সালাম – রবিনের নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২৩
0

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কোতোয়ালী থানার—২(১০)১৩ নং এর একটি মিথ্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২ বছর করে সাজা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “ক্ষমতাসীন দল এতোটাই বেপরোয়া হয়ে নিজেদের অতি ক্ষমতাধর মনে করছে যে, তারা রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত্ব করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আইন—আদালত, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে বেআইনী প্রভাব বিস্তারে মেতে উঠেছে অবৈধ সরকার—শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। দেশ উচ্ছনে যাক কিন্তু বিরোধী দলকে নানাভাবে নানা কায়দায় দমন করে ক্ষমতার সিংহাসন টিকিয়ে রাখাই এখন আওয়ামী সরকারের নিকট খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে বলে তারা মনে করে।

আর তারই নিষ্ঠুর বহি:প্রকাশ ঘটলো যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য হাজী মোঃ নাজিম, কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম, কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আলম, ৩৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমু, বিএনপি নেতা শাহিন, বাপ্পি, আমান, মিঠু রাশেদসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ জন নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় ২ বছর করে সাজা প্রদানের মধ্য দিয়ে।

সরকার ক্রমাগতভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই জুলুম—উৎপীড়ণের পন্থা অবলম্বন করে একের পর এক গণবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু আওয়ামী দুঃশাসন যতো নির্দয়ই হোক দেশের স্বাধীনতাকামী সাহসী জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ, যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গণতন্ত্র পূণরুজ্জীবনের আন্দোলনে অংশগ্রহণরত বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে স্বৈরাচারের নির্দেশে সাজা প্রদান করে তাদের সংগ্রামী চেতনাকে স্তব্ধ করা যাবে না।

বরং এতে তাদের সংগ্রামী চেতনা আরো বেশী শাণিত হবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—কোন স্বৈরাচারের নির্যাতন—নিপীড়ণ মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, শত অত্যাচারের মধ্যেও জনগণের দূর্বার আন্দোলনে স্বৈরশাসকরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকারের জন্যও একই পরিণতি খুবই সন্নিকটে।”

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে উল্লিখিত নেতাকর্মীর সাজা বাতিলসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।