তারেক – জোবায়দার মামলা নিয়ে হঠাৎ তৎপরতা সরকারের নতুন ষড়যন্ত্র —মীর্জা ফখরুল

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২২
0

২০০৭ সালে জরুরী সরকারের সময় চক্রান্তমূলকভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা রুজু করা হয়।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা ছিল তাঁকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার এক সুপরিকল্পিত মাষ্টারপ্ল্যানের অংশ।
একই পদ্ধতিতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিনী প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা এখনো সচল রাখা হয়েছে। সরকারের এহেন ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ।
হঠাৎ করে আজকে মামলাগুলো তালিকায় নিয়ে এসে আগামীকাল শুনানীর দিন ধার্য করা, সমগ্র প্রক্রিয়াটাই দুরভিসন্ধিমূলক, অশুভ নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।

গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যায় সারা বিশ^ যখন সোচ্চার, গণতন্ত্রহীনতায় সারা জাতি যখন বাকরুদ্ধ, আবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, অর্থ পাচার করে বিদেশে লুন্ঠনের অঢেল সম্পদ গড়ে ওঠার সংবাদ যখন মানুষের মুখে মুখে, তখন তারেক রহমান ও ডাঃ জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার কার্যক্রম চালু রাখা অবৈধ সরকারের টিকে থাকার জন্য মরণ কামড়। সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে সরকার আশংকা ও ভীতি থেকেই মামলা সচল করেছে।

ক্ষমতাসীনরা দৃশ্যমান লুটপাটে জড়িত থাকলেও এ নিয়ে আইন-প্রশাসন ও দুদকের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে রাষ্ট্রের সকল অঙ্গই সরকারের আজ্ঞাবাহী। তবে চক্রান্তজাল যতই বুনে যাক না কেন তাতে সরকারের কোন লাভ হবে না। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আকস্মিকভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার যে কার্যক্রম শুরু হলো তা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”