দুঃসময় শুধু বিএনপিতে নয়, এই দুঃসময় পুরো জাতির জন্য –মীর্জা ফখরুল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
0

দেশ ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই দুঃসময় শুধু সংবাদমাধ্যমে নয়, এই দুঃসময় শুধু বিএনপিতে নয়, এই দুঃসময় পুরো জাতির জন্য। আওয়ামী লীগ সরকার জবরদখল করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার সকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

ফ্যাসিবাদের সঙ্গে মুক্তচিন্তা ও মুক্ত সাংবাদিকতা একত্রে যায় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থায় দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ সাংবাদিক এখন সেলফ সেন্সরশিপে ভুগছেন। আজকে সাংবাদিকেরা লেখার আগে চিন্তা করেন, আমার কী হবে? এটাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।’

নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের প্রেস কনফারেন্সে একজন সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। যখনই তাদের মতের বিরুদ্ধে বলবেন, তখনই নির্যাতন করা হবে।’
বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই কমিশন একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আমাদের ৫২ জন বুদ্ধিজীবী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। এটা ভালো কথা, কিন্তু এই আইনটা করবে কে? যে পার্লামেন্ট করবে, সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু নেই। যারা এ দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে, জনগণের সমস্ত অধিকার হরণ করেছে, তারাই এই আইন পাস করবে।’ নির্বাচন কমিশন আইন যাঁরা চান, সবার আগে তাঁদের এই বিষয় লক্ষ রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাশিয়াতে নির্বাচন হলো। সেখানে পুতিন বারবার নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন। আজকে বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে। দুর্ভাগ্য একটাই, আমাদের বিশিষ্ট নাগরিকেরা মাঝেমধ্যে কথা বলেন। কিন্তু এসব বিষয়ে তাঁদের যে একটা শক্তিশালী বক্তব্য দরকার, সেটা আমরা দেখছি না।’

সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক সাংবাদিক, লেখক ও অ্যাকটিভিস্টদের মুক্তি ও মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি করেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সরকার মতপ্রকাশের অধিকারকে আরও সংকুচিত করতে ডেটা প্রোটেকশন আইন করার কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেন শওকত মাহমুদ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের তীব্র নিন্দা জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।