দুই যুগ ধরে বন্ধ কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, দূর্ভোগে উপজেলাবাসী

আপডেট: জুলাই ১, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ শয্যার একমাত্র হাসপাতালটিতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নতমানের আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে মেশিন এবং অপারেশন থিয়েটারে অ্যানেস্থিসিয়া মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হলেও দক্ষ জনবল এবং টেকনিশিয়ানের অভাবে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না হাসপাতালটিতে।

এতে দূর্ভোগে পড়েছে উপজেলার অসহায় দরীদ্র মানুষগুলো। আর বছরের পর বছর এসব মূল্যবান সরঞ্জামাদি ব্যবহার না করায় অযত্নে অবহেলায়, ধুলোবালি, মরিচায় অন্ধকারে প্যাকেট বন্দি হয়ে নষ্ট হতে বসেছে।

১৯৮২ সালে নির্মিত ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৩ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালে নতুন করে পোস্ট অপারেটিভ রুমসহ ৫টি আধুনিক রুম তৈরি করে অপারেশন চালু করার লক্ষ্যে একটি অ্যানেস্থিসিয়া মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। হাসপাতালটি চালুর প্রথম দিকে প্রসূতিদের জন্য অপারেশন থিয়েটার (ওটি) নিয়মিত চালু থাকার কিছুদিন পর অ্যানেস্থিসিয়া, গাইনী ও সার্জারি কনসালট্যান্ট পদ শূন্য থাকায় ওটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সিজারিয়ান অপারেশন দীর্ঘ ২ যুগ বন্ধ থাকায় গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরী ও জটিল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নতুন এক্সরে মেশিন সরবরাহ করা হলেও এটি চালু করা হয়নি টেকনিশিয়ানের অভাবে। এছাড়াও সনোজোলজিস্টের অভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটিও কাজে আসছে না। বর্তমানে ৫০শয্যার হাসপাতালটিতে পূর্বের ৩১ শয্যারও জনবল নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু শফি মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত) জানান, যন্ত্রপাতি থাকলেও দক্ষ জনবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার চালু করতে পারছি না। বিশেষজ্ঞ সার্জন নেই। বর্তমানে ১জন গাইনি কনসালট্যান্ট, ১জন অ্যানেস্থিসিয়া ডাক্তারের পদায়ন থাকলেও অ্যানেস্থিসিয়া ডাক্তার ডেপুটিশনে জেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। তবে দক্ষ জনবলসহ অপারেশন থিয়েটার চালু করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির জানান, এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে অতি শীঘ্রই অ্যানেস্থিসিয়া, গাইনী ও সার্জারী কনসালট্যান্ট দিবে বলে কথা দিয়েছে। অ্যানেস্থিসিয়া, গাইনী ও সার্জারী কনসালট্যান্ট পেলে অপারেশন থিয়েটার চালু করা হবে।

এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভাগীয় পরিচালককে জানানো হয়েছে। তিনি অতি তাড়াতাড়ি টেকনিশিয়ান ও সনোজোলিস্ট পোস্টিং দিয়ে এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শাহজাহান আলী মনন,
সৈয়দপুুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি