দূর্গম লোগাং’র আতঙ্ক এখন “রুবেল বাহিনী”

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
0
ঘরবাড়ি ভাংচুরের দৃশ্য

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ভোটে পরাজয়ের ক্ষোভ ও আক্রোশে স্থানীয় ভোটার,নির্বাচীত মেম্বারের কর্মী সমর্থকদের বাড়ী-ঘরে হামলা,ভাংচুর,নগদ অর্থ-স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

ঘরবাড়ি ভাংচুরের দৃশ্য

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ফুটবল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী রুবেল মিয়া,ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উস্কানিদাতা হিসেবে তার মামা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনকে দায়ী করা হয়েছে।

ঘরবাড়ি ভাংচুরের দৃশ্য

স্থানীয়রা জানান, রুবেল ও তার বাহিনীর ভয়ে এলাকা ছাড়া নির্বাচীত মেম্বার টিউবওয়েল প্রতীকের মো: সাহেব আলীসহ সাধারন ভোটাররা। সপ্তম ধাপে পানছড়ির ৫ ইউপি নির্বাচনের দিন ভোট গণনার পর থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।

মুলত রুবেল মিয়ার ফুটবল প্রতিকে ভোট দিয়ে ব্যালট তাদের লোকজনের হাতে জমা না দেওয়াসহ অনেক ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে বারন শর্তেও ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ায় এ হামলার শিকার হতে হয়েছে বলে জানান শান্তি নগর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ভোটার ও বাড়ী মালিকরা। তারা জানান, বাড়ি-ঘরে গিয়ে হামলার সময় নুরে আলম,টিপু সুলতান,রফিকুল,ইব্রাহীম,সাগর,আনিস,হান্নান,ইমনসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের অধিক হামলাকারী এ হামলা যজ্ঞে অংশ নেন।

ঘরবাড়ি ভাংচুরের দৃশ্য

এ নিয়ে এলাকায় ভীতি-আতঙ্ক কাটছেনা। প্রাণের ভয়ে এলাকা ছাড়া ৩০/৪০ জন স্থানীয় ভোটার ও নির্বাচীত মেম্বার ও তার কর্মী সমর্থকরা। পানছড়ি থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় শঙ্কিত স্থানীয়রা।

এত সবের পরও ছাপা ক্ষোভ ও প্রকাশ্যে এই বাহিনীর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারলেও রুবেল বাহিনী এখন লোগাং এর আতঙ্ক বলে দাবী করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ দাবী করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরণসহ নিরাপত্তা দাবী করেছে ভুক্ত ভোগীরা।

অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী রুবেল মিয়া ও তার মামা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লোকমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা। একই সাথে রুবেল এ ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দায়ী করে বলেন, নির্বাচনে কারচুপি ধামাচাপা দিতে এ ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য পাল্টা অভিযোগ তোলেন।

নব নির্বাচীত মেম্বার মো: সাহেব আলী এ ঘটনার জন্য পরাজিত মেম্বার প্রার্থী রুবেল ও তার কর্মী বাহিনীকে দায়ী করে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট,ভোটারদের মারধর,ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় ৩০-৪০ জনকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আনছারুল করিম জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৮৩৮৪৯৯৯৯৯