বান্দরবান জেলা সংবাদদাতা: কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে বেড়ানোর কথা বলে বান্দরবানের লামায় এনে অপহরণ। অতঃপর ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি।
মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়েছে কতিপয় দুর্বৃত্ত। হত্যার ২৫দিন পরে মাটিখুড়ে লাশ উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় লামার সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলামের লাইভ ভিডিওটি সর্বস্তরের জনগণের মনকে কাঁদিয়ে দিয়েছে।যা দেখে লামার জনগণ হতবাক এবং স্তম্ভিত হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, নৃশংস হত্যাকান্ডের স্বীকার হাফেজ মোঃ অলি উল্লাহ স্বাধীন (১৭) কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফতেয়াবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেন এবং লুৎফা বেগমের সন্তান।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ১নং আসামি মোঃ ফয়েজ আহমেদ (৩৭) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খারাতাইয়া গ্রামের আবদুল মালেকের সন্তান।২নং আসামি নিহতের আপন ফুফাতো ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম (১৭) দেবীদ্বার থানার ফতেয়াবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গনি খার সন্তান।
নিহতের বড়ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল (২৪) জানান,গত ২২শে মার্চ ছোটভাই হাফেজ স্বাধীন ফুফাতো ভাই মোঃ আরিফুল ইসলামের সাথে বেড়ানোর কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু ঘরে ফিরে না আসায় গত ২৪শে মার্চ নিখোঁজ জিডি করা হয়।জিডির সুত্র ধরে মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে মোঙ্গলবার লামা থানায় যোগাযোগ করা হয়। লামা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোঃ ফয়েজ আহমেদ এবং আরিফুল ইসলামকে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি থেকে আটক করে।ফয়েজ আহমেদ বেতঝিরি এলাকার ইউনুছ মোল্লার মেয়ে জামাই। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে মোঙ্গলবার দিবাগত রাত১২টার পরে লাশ উদ্ধার অভিযানে নামে লামা থানা পুলিশ।রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরি নামক ঘটনাস্থলে রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মাটিখুড়ে হাফেজ অলি উল্লাহ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, লামা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ মাহমুদ, ইনচার্জ তদন্ত মোঃ আলমগীর, উপপরিদর্শক মোঃ রাশেদ,আশ্রাফুল ইসলাম, ত্রিদিব বড়ুয়া, এবং রুপসীপাড়া ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবু তাহের। এছাড়াও পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের দুই ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল এবং জিলানী বাবু লাশটি তাদের ভাইয়ের বলে সনাক্ত করেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।