দেশজুড়ে এতো লোডশেডিং কেন, বিদ্যুৎখাতে ব্যয়ের হিসেব দিন—সরকারকে খন্দকার মোশাররফ

আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২২
0

সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ে পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুখাতে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, ‘‘ বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে। তো আজকে সেই লোডশেডিং মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে আসলো কিভাবে?”

‘‘ শহরে, এই ঢাকা শহরে ২৪ ঘন্টায় কতবার লোডশেডিং হয় আপনারা ভালো জানার কথা। গ্রাম দেশে তো ১০/১২/১৪ ঘন্টা লোডশেডিং হয়। এতো লোডশেডিং হলে বিদ্যুত খাতের এতো হাজার হাজার কোটি টাকা গেলো কোথায়? ”

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘আপনারা এখনই বলেন, আগামী দুর্ভিক্ষ হবে, হারিকেন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন জনগনকে। তাহলে এতো টাকা খরচ করে, এতো টাকা আপনারা বিদেশে পাঁচার করলেন। তাহলে আপনারা নিজেরা্ নিজেদেরকে ব্যর্থ বলে আপনারা নিজেরা সাক্ষী দিচ্ছেন।”

‘‘ জনগনের কথা হচ্ছে এনাফ ইজ এনাফ। আপনারা দয়া করে বিদায় হোন। আপনারা কিছুই পারবেন না। সবই যদি বিএনপির কারণে হয় তাহলে আপনারা কেনো ক্ষমতায় আছেন। জনগনের দাবি এই সরকারের অনতিবিলম্বে বিদায়।”

তিনি বলেন, ‘‘ এই সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না, েই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। তা না হলে নির্বাচন এদেশে সুষ্ঠু হবে না,নিরপেক্ষ হবে না।”

‘‘ অতীতেও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সম্প্রতি গাইবান্ধাও উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা আজকে প্রমাণিত যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, ডাকাতি হয়। সেকারণে্ আমরা বলেছি যে, এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচনও হবে না।”

সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘তারেক রহমান: গণতন্ত্রের অগ্রপথিক ছবির অ্যালবাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ এই সরকারকে না হটালে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।”

‘‘ সেজন্য আজ দেখবেন জনগন জেগে উঠেছে। আমাদের দায়িত্ব জনগনকে সংগঠিত করে এই সরকারকে হটানো, দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ভোটে এদেশের জনগনের তাদের নিজেদের হাতে ভোটের ব্যবস্থা করাই একমাত্র আমাদের টার্গেট। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।”

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রমূখ বক্তব রাখেন।