বাইরে থেকে পয়সা এনে অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত –আইজিপি

আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
0

দেশের বাইরে থেকে পয়সা এনে অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আজ শনিবার জুমবাংলা স্কুলপ্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশের মাটি খুবই উর্বর। এখানে সোনা ফলে। একই সঙ্গে পরগাছাও ফলে। পরগাছার বিষয়টি অনেক সময় দেখা যায় যে ফসল থেকে পরগাছা বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়।

অনেকেই এই পরগাছা হয়ে আছেন, বাইরে থেকে পয়সা আনেন, এনে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। যাঁরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, দেশের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে পেছন থেকে খামচে ধরতে চান, এখন বোধ হয় সময় এসেছে এগুলোকে (তাঁদের) অ্যাকাউন্টিবিলিটিতে (জবাবদিহি) নিয়ে আসার।’

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সমস্ত ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে, সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে আজকে এই ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্র্যাজুয়েট করেছে। আমরা শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গ্র্যাজুয়েট করব। সমস্ত ষড়যন্ত্রের শিকল ভেঙে, বিশেষ করে দেশের মধ্যে থাকা পরগাছাদের শিকল ভেঙে, সেটি সম্ভব।’

আইজিপি বলেন, ‘বাঙালি দেশপ্রেমী জাতি। দেশের জন্য বাঙালি যতবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ততবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। আমার কোনো সন্দেহ নেই, দিন শেষে এ জাতি বিজয়ী হবে।’
বিজ্ঞাপন

একসময় বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘দারিদ্র্যকে মানুষ নিয়তি হিসেবে মেনে নিত। মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪০-৫০ বছর। এ রকম একটা দেশকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের গরিবের হার ছিল ৮০ ভাগ। ২০০৯ সালে যখন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭ ভাগ। এখন দারিদ্র্যের হার ২০ ভাগ। চরম দারিদ্র্যের নিচে বসবাস করে মাত্র ৯ ভাগ মানুষ। আজ আমরা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে উন্নয়ন ও সামাজিক অনেক সূচকে পেছনে ফেলে দিয়েছি।’

জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। বক্তব্য দেন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি জেরিন সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুহুল আমিন।