দেশে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ অনুমোদন

আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১
0

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল’ ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। চারদিন আগে যুক্তরাজ্য সরকার এ ওষুধের অনুমোদন দেয়।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) এই ওষুধটি দেয়।

জানা গেছে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেশে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমতি চেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি মের্ক মলনুপিরাভির নামে এই পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরি করেছে। এই ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারী কোম্পানি।পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সক্ষমতা মলনুপিরাভিরের রয়েছে বলেও বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।

পিল প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, মলনুপিরাভির মানবদেহে প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি প্রায় স্থবির করে দেবে। আর এর ফলেই কমতে থাকবে করোনারোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও এ রোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি।

কর্মকর্তারা আরও জানান, বাজারে বর্তমানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোর মূল কাজ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা, ভাইরাসকে অকার্যকর করা নয়। এক্ষেত্রে মলনুপিরাভিরই বিশ্বে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ, যেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভাইরাসের প্রজনন ক্ষমতা অকার্যকর করতে সক্ষম।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত তিনটি মেডিকেল ট্রায়াল পার করেছে মলনুপিরাভির। প্রতিটি ট্রায়ালেই রোগীদের শারীরিক অবস্থার লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।