দেশে গোলা ভরা ধান থাকতেও সরকারীমদদপুষ্টরা ভারত থেকে চাল আমদানী করছে কার স্বার্থে – প্রশ্ন শাসুজ্জামান দুদুর

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২১
0

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন , ‘প্রতিটি মৌসুমে দেশের কৃষকূল বাড়তি টাকা খরচ করে ধানে বাম্পার ফলন ফলাতে সক্ষম হয়। কৃষকের গোলায় ,চাতাল ও গুদামে লক্ষ লক্ষ মেট্রিক টন নতুন ধান, চাল থাকার পরও সরকারীভাবে এবং সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট আমদানীকারকরা ভারত থেকে শুল্কমূক্ত সুবিধায় চাল আমদালী করে একদিকে নিজেরা মুনাফা করে অপর দিকে ধান চাষীদের পথে বসিয়ে দেয় অথচ সাধারণ মানুষ মোটা চাল ৪০-৪৪ টাকা কেজি দরে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। ”

শুক্রবার মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিতব্য কৃষক দলের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে
প্রেস- কনফারেন্সেিতিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ” যেখানে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা সেখানে প্রতিমন ধান ৬৪০-৬৬০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে গড়ে প্রতি বিঘায় কৃষকের নীট লোকসান ৬০০-৮০০ টাকা। সরকারীভাবে ভারত থেকে চাল আমদানীর ফলে কৃষকের মাথায় হাত পড়ছে, প্রতিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে, প্রতিবছর সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টন চাল আমদানী করা হয়। অথচ এ কথা অস্বীকার করা হয়। দেশে দানা শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নিত হয়েছে বলে সরকারি সুত্রে স্বীকার করা হচ্ছে। দেশের আপতকালীন মজুদ কমে এখন ১০ লক্ষ ৮১ হাজার মেট্রিক টনে দাড়িয়েছে। একদিকে উদ্বুত্ত উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানীর কথা বলা হচ্ছে অন্য দিকে প্রতিবছর শুল্কমূক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে কার স্বার্থে ?

দেশে ভূট্টা চাষীরা প্রতি বছর ভূট্টার ন্যায্যমূল্য পায় না। যারা ন্যয্যমূল্য পাওয়ার আশায় ভুট্টা সংরক্ষণ করে তারা সে ভূট্টা বিক্রি করতে পারে না, কারণ ভারত থেকে নি¤œ মানের ভূট্টা আমদানী করে সরকার দলীয় লোকেরা। একই অসস্থা শাক-সবজিসহ অন্যান্য রবি শস্যোর ক্ষেত্রেও ঘটেই চলেছে।
সারা দেশে আলু চাষীরা চরম আতংকে আছে। তারা ধান -পাট-ভূট্টা- সবজিতে দাম না পেয়ে আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

দেশের অর্থনীতি এবং শ্রম শক্তির সবচেয়ে বড় যোগানদার এ দেশের কৃষি ব্যবস্থা । দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের ৭০ শতাংশেরও বেশী জনশক্তি কৃষি কাজে নিয়োজিত আছে। দেশ যে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গর্ব করে তার ৯০ ভাগই আসে কৃষকের সন্তানদের প্রেরিত অর্থ থেকে। দেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে সস্তা শ্রমের যোগানও আসে কৃষকের সন্তানদের মাধ্যমে। দেশের উৎপাদিত এবং আমদানীকৃত সকল পণ্যের সবচেয়ে বড় ভোক্তাও এদেশের কৃষক সমাজ। অথচ বাংলাদেশের কৃষক কূল আজ দিশেহারা।