দেশে ফিরেছেন ইউক্রেনে থাকা ৫ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২২
0

ইউক্রেনে আটকে পড়া ৫ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী দেশে ফিরেছেন। সোমবার দুপুরে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে সকাল ১০টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান তারা। যুদ্ধ শুরুর পরপর তারা সবাই পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে সরকারের সহযোগিতায় আজ তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

দেশে ফিরে আসা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বোগোমলেটস ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দেবব্রত সুষ্ময় বলেন, ‘পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। অ্যাম্বাসি থেকে লোক এসে আমাদের উঠিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরতে কোনো সমস্যা হয়নি।’

সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে সুষ্ময় বলেন, ‘যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন আমরা সবাই কিয়েভেই ছিলাম। প্রথমদিকে আমরা হোস্টেলে ছিলাম। পরিস্থিতি যখন আরও খারাপ হয় তখন বাংকারে চলে যাই। সে সময় তো বাইরে বের হতে পারিনি। তাই দেখার তেমন সুযোগ হয়নি। কিন্তু অনেক শব্দ শোনা যেত।’

দেবব্রত সুষ্ময় বলেন, ‘একপর্যায়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ইউনিভার্সিটি থেকে বলা হলো তোমরা তোমাদের মতো নিরাপদ জায়গায় চলে যাও।

খবর পেলাম আমাদের অ্যাম্বাসি থেকেও বলা হলো আমাদের সাহায্য করা হবে। তখন আমরা কিয়েভ থেকে লাবিবে যাই। সেখান থেকে হেঁটে পোল্যান্ডের বর্ডারে পৌঁছাই। পরে সেখান থেকে আমাদের গাড়ি দিয়ে অ্যাম্বাসির লোকজন ওয়ারশতে নিয়ে যায়।’

এ সময় পোল্যান্ডের বাংলাদেশী দূতাবাস ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সুষ্ময় বলেন, ‘আমার সাথে আরও ৫ জন দেশে এসেছেন। তারা সবাই বাসায় চলে গেছেন।’

পোল্যান্ডের বাংলাদেশী দূতাবাস বেশ সহযোগিতা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সব সময় আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। যখনই ফোন করেছি, রিসিভ করেছেন। আমাদের সুন্দরভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’

তবে কবে আবার পড়াশোনার জন্য সেখানে ফিরতে পারবেন তা জানেন না তিনি। এ বিষয়ে দেবব্রত বলেন, ‘কবে আবার ফিরতে পারব তা জানি না। যুদ্ধ শেষ না হলে তো ফিরে যাওয়া সম্ভব না।

ইউনিভার্সিটি থেকে বলা হয়েছে, অনলাইন ক্লাসের একটা ব্যবস্থা করা হবে। সেটা কবে থেকে শুরু হবে তাও নিশ্চিত না। কয়েকটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আশা করি শিগগিরই শুরু হবে।’