দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্মরণ

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২৩
0

ডেস্ক রিপোর্ট:

“দেশের যোদ্ধা বন্ধু সবার” স্লোগানকে সামনে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গরীবের ডাক্তার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরনসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসভবনে এ স্মরনসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আজিমের সঞ্চলনায় স্মরনসভায় অংশ নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. কাশেম চৌধুরী, ছোট বোন সেলিনা চৌধুরী মিলি, উবিনিকের নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, অর্থনীতিবিদ বিনয়ক সেন, গণস্বাস্থ্যের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুজ্জামান অপু।
পবিত্র কুরআন দেলওয়াত করেন অধ্যাপক পারভীন হাসান,গীতা পাঠ করেন চিন্নয় হাওলাদার, ত্রিপটক পাঠ করেন রিপন বড়ুয়া, বাইবেল পাঠ করেন রজনীল মরাউটা।

দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল সাকি।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা জানা-অজানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে আবেগ প্রবণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে সূচনা গানের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।সন্ধা ৬টা ১৫মিনিটে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মোনাজাত শেষে সংক্ষিপ্ত আকারে স্মৃতিচারণ করে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক আরো বলেন, তার সঙ্গে থাকা সহজ ছিল না। আমরা তর্ক করতাম। আবার একসঙ্গে নাটক দেখতে যেতাম। জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাটক দেখতে খুব ভালবাসতেন। নাচ-গান খুব একটা ভালবাসতেন না। একবার তাকে নিয়ে নাচ দেখতে গিয়েছিলামসন্তুষ্ট করতে । আমার পাশের আসনে বসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি কাজ পাগল ছিলেন। তাই এত আনন্দ আমরা করতে পারিনি। সন্তানদের সময় দিতে পারতেন না। কিন্তু খুব ভালবাসতেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অন্তিম সময়ে গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকরা বড় কোনো হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। বলেছিলাম, ‌চোখ খুলে যদি তিনি দেখেন, তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাহলে জানতে চাইবেন, ‘কে নিল এই সিদ্ধান্ত’ ।

উপস্থিত ছিলেন, ড. কামাল হোসেন, ড. মোহম্মদ ইউনুস, এমিরেটস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর, অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, অধ্যাপক অহিদউদ্দিন মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, ট্রাস্টি সন্ধা রায়, চ্যানেল আই-এর শাইখ সিরাজ, নিউ এইজ পত্রিকার প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, নারী নেত্রী খুশি কবির, ডা. চৌধুরীর ছোট ভাই ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নাজিম উল্লাহ, কর্নেল ( অব:) নাসির চৌধুরী,স্ত্রী শিরিন হক, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী, কবি ফরহাদ মাজহার, লেবারপার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ-অধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ।