দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পরিবহনসহ প্রতিটি সেক্টরে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে : ইসলামী সমাজ

আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১
0


মাসব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা ইসলামী সমাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় সুশাসন ও ন্যায় বিচারের পরিবর্তে দেশের সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে সময় কাটাচ্ছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পরিবহনসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে। মাদক, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মারাত্মক আকার ধারন করেছে। মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা নেই। দ্রব্যমূল্যের লাগাহীন ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন রকম দূর্নীতির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে।
আজ রোববার সকালে “ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদার ও সৎকর্মশীল লোক গঠনের উপায়” বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ হুমায়ূন কবীর এসব কথা বলেন। এসময় তিনি রাজধানী ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করার জন্য ১৩ টি টিমের তালিকা প্রকাশ করেন এবং কর্মসূচী ঘোষণা করেন ইসলামী সমাজের ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ ও ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীল নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিন।

ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক তৈরি হলেই আল্লাহ তাদেরকে জমীনে খিলাফত তথা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করবেন। আর তখনী আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণে পর্যায়ক্রমে ইসলামের আইন-বিধান চালু করার মাধ্যমে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি।
মাসব্যাপী কর্মসূচিগুলো-
ইসলামী সমাজ গঠিত ১৩ টি টিম ডিসেম্বর মাসব্যাপী ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানা এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করবে। প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর, ইসলামী সমাজের ৬টি অফিসে আলোচনা সভা।
২ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব নাখালপাড়া, ৩ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব বাসাবো, ৪ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব আশকোনা, ৫ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব মিরপুর, ৬ ডিসেম্বর হাজারীবাগ এবং ৭ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব যাত্রাবাড়ী অফিসে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ধারাবাহিক উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর ।

৮ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১১ ডিসেম্বর হইতে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের নির্ধারিত এলাকা ভিত্তিক সর্বসাধারণের সাথে আমীর সাহেবের মতবিনিময় সভা। ১১ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় চাঁদ উদ্যান, মুহাম্মদপুর। ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড। ১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় স্বাধীনতা চত্তর, মিরপুর-১৩। ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায়, ভিক্টোরিয়া পার্ক, কোতোয়ালী। ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায়, বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট। ১৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায়, বিমান বন্দর রেল স্টেশনের পূর্ব পাশে, সি.এন.জি স্ট্যান্ড। ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় বিশেষ মানব বন্ধন।

২০ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের নির্ধারিত এলাকা ভিত্তিক শান্তিপূর্ণ পথসভা। ২০ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, মিরপুর-১, ঈদগাঁহ মাঠ। ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, মধ্যবাড্ডা, শাহী মসজিদের সামনে। ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, হাজারীবাগ পার্ক। ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড মসজিদের পাশের স্থান। ২৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, আজমপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ মাঠ।

২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, কদমতলা সংসদ সংলগ্ন বাসাবো বালুর মাঠ। ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, ধানমন্ডী লেক। ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, শহীদ জিয়া গালর্স স্কুল, সংলগ্ন পার্ক, যাত্রাবাড়ী। ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, ঢাকা।
ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা আমীর হোসাইনের পরিচালনায়সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- নুরুদ্দীন আহমদ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম, সেলিম মোল্লা, হাফিজুর রহমান, আবু শামাহ প্রমুখ।