ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার নারী কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলি, তার স্বামী মাছুম আহমদ, ভাই নোমান এমদাদ কানন ও কার্জনসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। পৌর সভার অফিস সহায়ক দিপ্ত বনিক কর্তৃক দায়েরি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আইনে মামলার অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
জানা যায়, ছাতক পৌরসভার বাগবাড়ি কবরস্থান এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে স্থানীয় নারী কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী ও তার স্বামী মাছুম আহমদ চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে গত (১৮ আগষ্ট) স্ট্যান্ডের ইজিবাইক ম্যানেজার আতিকুল গংরা ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ আগষ্ট দুপুরে পৌরসভার মেয়রের কক্ষে আলোচনা চলাকালে অভিযুক্ত কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকুলী হঠাৎ ওই কক্ষে প্রবেশের পর গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে পৌরসভায় ডেকে আনেন স্বামী মাছুম, দুই ভাইসহ অন্যান্য লোকজনকে। তারা উত্তেজিত হয়ে পৌর ভবনের বিভিন্ন কক্ষে, দরজা-জানালা, টেবিলের গ্লাস ভাঙচুরসহ জানালার পর্দা ছিড়ে প্রায় ৫০হাজার টাকার সরকারী সম্পদ নষ্ট করেন। তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদের বিশেষ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে উপস্থিত সকল কাউন্সিলারদের সম্মতিতে ওই নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখায় ২৬ আগষ্ট পরিষদের অপর এক সভায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো ও কাউন্সিলর এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়। নারী কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলীকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ছাতক থানায় মামলা (নং-২৮, তাং-২৭, ০৮, ২০২১ইং) দায়ের করেন, পৌরসভার অফিস সহায়ক দিপ্ত বনিক। ৩১ আগষ্ট আসামীরা সুনামগঞ্জ আদালত থেকে অগ্রীম জামিন গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা, ছাতক থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান চার্জশীট দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেছেন।