নদীদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘নদী এবং যুবসমাজ’ শিরোনামে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের দূষণবিরোধী নদী কথন অনুষ্ঠিত

আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১
0

৩১ আগস্ট, মঙ্গলবার ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম এর দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের আয়োজনে তৃতীয় নদী কথন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২:০০ টায় ওয়াশপুর এলাকার মাঝের চরে বুড়িগঙ্গার কিনারে আয়োজন করা হয় এই নদী কথন অনুষ্ঠানটি। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক এবং ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ এর নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিল এর সঞ্চালনায় “নদী এবং যুবসমাজ” শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই নদী কথন অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জমান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; আহমেদ রেজা, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ বিতর্ক ফেডারেশন এবং ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেট, যমুনা টেলিভিশন; রাওমান স্মিতা, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং সদস্য সচিব, যুববাপা; অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ সানি, বুড়িগঙ্গা নদী তীরের কম্যুনিটি সদস্য। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আয়োজিত এই নদী কথন অনুষ্ঠানটি ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং সোস্যাল মিডিয়াভিত্তিক নদী টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ww.facebook.com/waterkeepersbangladesh; www.facebook.com/noditvbd/videos/316954469978139 থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

দূষণবিরোধী শক্তিশালী প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইউএসএআইডি, এফসিডিও এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিপিআই এর অন্তর্ভূক্ত সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) কে সাথে নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে নদী দূষণ রোধে পরিচালিত এই নদীকথন অনুষ্ঠানে যুব সমাজের বেড়ে ওঠায় নদীর ভূমিকা এবং নদী দূষণ রোধে যুব সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে নদী বিষয়ক এই আলোচনাকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

নদীকথন অনুষ্ঠানে শরীফ জামিল বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর দুষণের প্রায় পঞ্চাশভাগ দুষণই হাজারীবাগের দুই শতাধিক ট্যানারি শিল্প এবং শ্যামপুরের এক শতাধিক ডাইং কারখানাজাত। রাজধানীর সাথে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের বৃহত্তম কেন্দ্র হলো বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট বন্দর। প্রতিদিন কয়েকশত নৌযান এই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকাটি নৌযান থেকে নির্গত দুষণের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় বসবাসের অনুপযোগী নগরীতে স্থান করে নিয়েছে। শহরটি সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর এবং জলাবদ্ধতার সঙ্কট নিরসনের জন্য ভীষণভাবে সংগ্রাম করছে।

প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জমান বলেন, বাণিজ্যিকীকরণের প্রভাবে আর সচেতনতার অভাবে নষ্ট হচ্ছে আমাদের বুড়িগঙ্গা। এই দূষিত নদীর বাতাস ধানমন্ডি কিংবা ঢাকার যে পর্যন্ত যাচ্ছে তার সবই দূষিত হয়ে যাচ্ছে। নদীর জনগণের এটাকে রক্ষা করতে সকলকে কথা বলতে হবে। আমরা দূষণ হতে দেবো না।