না’গঞ্জে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
0
rape

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে কৌশলে কেরানীগঞ্জে নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী (২৯)কে ৭দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে আকাশ নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আকাশ (২৫) শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চর মোহন লাউরানির সোবহান হাওলাদারের পুত্র ও ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুন কুটিয়ার সোহাগের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে ফতুল্লা থানার শারজাহান রি-রোলিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে অপহরণ করে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে আকাশ ও সহায়তার অভিযোগ এনে আকাশের বোন ফাতেমা (২০)কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তথ্যমতে, গৃহবধুর স্বামী প্রবাসী। তিনি চার সন্তানকে নিয়ে লালপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। আকাশ তার স্বামীর নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাধে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় তাদের মধ্যে কথা হতো। আত্মীয় হওয়ার সুবাদে প্রায় সময়ই আকাশ বাদীর লালপুরস্থ বাসায় আসতো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টার দিকে আকাশ এবং তার বোন একটি অজ্ঞাতনামা সিএনজি যোগে বাদীর লালপুরস্থ বাসায় আসে। এক পর্যায়ে তাকে তার বাসা থেকে সিএনজিতে করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কৌশলে কেরানীগঞ্জে আকাশ তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।

বাসায় পরিবারের কোন সদস্য দেখতে না পেয়ে গৃহবধূ চলে আসতে চাইলে আকাশ তাকে জানায় তার মা চলে আসবে। পরে বিকেলের দিকে গৃহবধূ চলে আসতে চাইলে তাকে জোরপূর্বক ভয় ভীতি প্রদর্শন করে রাত্রি যাপন করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে রাত্র সাড়ে ১১টার দিকে আকাশ ইচ্ছার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে প্রথমবারের মতো ধর্ষণ করে। সে সময় থেকে ২০ সেপ্টেম্বর রাত্র দুইটা পর্যন্ত আকাশ তাকে একাধিকবার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাত আড়াইটার দিকে গৃহবধূ ধর্ষকের কবল থেকে পালিয়ে নিজ বাসা লালপুরে চলে আসে বলে মামলায় উল্লেখ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি হুমায়ন কবির (তদন্ত) জানায়, ধর্ষনকারীর কবল থেকে পালিয়ে এসে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামী আকাশকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে থানার শিয়াচর লালখাঁ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামালায় অভিযুক্ত অপর আসামীকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।