না’গঞ্জে নির্বাচনের আগের রাতে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা পুলিশের সঙ্গে আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত-২৫

আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের জাঙ্গাল এলাকায় নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশের সঙ্গে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) মধ্যরাত ১২টার সংঘর্ষ শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী হয়। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদের সমর্থকরা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ভেতরে অগ্রিম সিল মেরে রাখছিল। আমরা বারবার চেষ্টা করেও কেন্দ্র দখল থামাতে পারিনি। পরে তারা জাঙ্গাল কেন্দ্রেও একই কাজ করার সময় পুলিশ ও নৌকার প্রার্থীদের এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরে তারা পুলিশের সহযোগিতায় পালাতে চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করে এলাকাবাসী ধরে ফেললে তাদের বাঁচাতে পুলিশ আমাদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ে। আমাদের ২০ জনের মত লোকজন আহত হয়েছে।

পুলিশ বলছে, একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছিল। তাদের প্রতিহত করতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, শর্টগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ। তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন্দ্র দখলের দিন কী আর এখন আছে?। আর ওটা স্বতন্ত্র প্রার্থীরই এলাকা। কেউ কেন্দ্র দখল করতে গেলে সেটা নিজের এলাকাতেই করবে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর এলাকাতে কেন করতে যাবে? স্বতন্ত্র প্রার্থী কামালের সন্ত্রাসী বাহিনীই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ধামগড়ের জাঙ্গাল কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করছিল। এতে বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শতাধিক রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে।

প্রসঙ্গত, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি ও ভোট কক্ষ ৫৩টি। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৮০৮ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ২২৯ জন।