না’গঞ্জে যুবদল নেতা কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে শিউলির আইসিটি মামলার চার্জশীট দাখিল

আপডেট: জুলাই ৮, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আইসিটি মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ওই চার্জশীটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ফতুল্লা থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম। সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নামের একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ি গত ১৬ মে রাতে ফতুল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ফেরদৌসি আক্তার মোসকান নামের আরেক নারীকে আসামী করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলর খোরশেদ ও ফেরদৌসি আক্তার মোসকানের বিরুদ্ধে ৬ জন সাক্ষী দেখিয়ে দুজনের দেয়া দুটি ফেসবুকের বক্তব্য ভিডিওসহ একাধিক আলামত সহ আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। মামলার বাদী সায়েদা শিউলি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, চার্জশিটে তিনি খুশি। এখন আসামীদের গ্রেফতার করে বিচার শুরু করা এবং উপযুক্ত রায় যেন দেয়া হয় এমন দাবী করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী সায়েদা শিউলি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়ানের সভাপতি এবং গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও বিজেএমইর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায়ই তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। বিবাদী খোরশেদের সঙ্গে তার পরিচয় ছোটবেলা থেকে। আগে তার একটি বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সে ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতেন। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের আগস্ট মাসের ২ তারিখে কাঁচপুর এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। পরবর্তীসময়ে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে সম্পূণ রূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় সে ব্যবসায়িক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খোরশেদ ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করেন এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটান। এর একদিন পর ২৫ এপ্রিল আটটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামে এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তাকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেসবুক লাইভে বলেন।
যুবদল নেতা খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা জানায়, খোরশেদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষতি করার জন্য কিছু প্রভাবশালী লোকের সহায়তায় ঐ মহিলা এধরণের যড়যন্ত্র করছে। আমাদের হয়রানি থেকে বাঁচানোর জন্য আমি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করি।

এম আর কামাল
নারায়ণগঞ্জ