ইউএনওর হয়ে ফরিদউদ্দিনের ক্ষতিপূরণ দিলেন না’গঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী

আপডেট: মে ২৪, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার ফরিদউদ্দিনকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের অনুরোধে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী রবিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় ওই টাকা ফরিউদ্দিনকে প্রদান করেন। ওই সময়ে ফরিদউদ্দিনের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকা আদায় করা হয়।

এতে প্রশাসনের সঙ্গে ঘটনায় ফরিদউদ্দিনের ভুল ছিল উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শাহনূর মিয়া জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে পরিবারটির দিকে খেয়াল রাখতে অনুরোধ করা হয়। তিনি মানবিক কারণে নিজ উদ্যোগে এই সহায়তা দিয়েছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সন্ধ্যায় অসহায় ওই ব্যক্তির বাসায় গিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জাহুরা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। এর আগে রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী বুধবারের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার করোনায় লকডাউনের কারণে সংসার আর নিজের চিকিৎসা খরচ জোগাতে না পেরে সরকারি ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার ইউএনও যখন তার এলাকায় আসেন তখন সকলেই ভেবেছেন প্রতিবন্ধী ছেলেকে সহায়তা দিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু সাহায্য চেয়ে এতবড় ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবতেই পারেননি কেউ।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইউএনও আমাকে বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলে আমি সত্যটাই বলেছি যে বাড়ির মালিক আমি। তিনি আমাকে বলেছেন আমি বৃদ্ধ মানুষ তাই জেল জরিমানা দিলাম না। কিন্তু যেহেতু আমি সচ্ছল হয়ে খাবার চেয়েছি তাই ১০০ দরিদ্রকে আমাকে ত্রাণ দিতে আদেশ করেন। আমি জেলের ভয়ে রাজি হয়ে যাই। আমার অবস্থা তাকে বলতে গেলে স্থানীয় মেম্বার আইয়ুব আলী কোন সুযোগ দেননি। উল্টো তাকে না জানিয়ে ৩৩৩ তে কেন ফোন দিলাম সেজন্য ধমকাতে থাকেন।

ফরিদের স্ত্রী হিরন আক্তার জানান, ১০০ লোকের ত্রাণ যোগাড় করতে গিয়ে আমাদের স্বর্ণালংকার বন্ধক রাখতে হয়েছে, ধার করতে হয়েছে। মেম্বার আইয়ুব আলীও সুদে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছে।