নারায়ণগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্ত

আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১
0
isa

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় বিশেষ কারণে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর ফতুল্লার লামাপাড়া লামাপাড়া ইসলামী পাঠাগারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আনোয়ার হোসেন জিহাদী সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের প্রার্থীদের সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারা হলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদে হাজী আব্দুস সালাম এবং কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদে ওমর ফারুক। যা নেতাকর্মীদের সমালোচনার সৃষ্টি করে। নিজেদের মধ্যেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আনোয়ার হোসেন জিহাদী, উপদেষ্টা আলী হোসেন কাজল মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক মু. শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সদর নায়েব মো. শাহজাহান আলী ও দুই প্রার্থী হাজী আব্দুস সালাম ও ওমর ফারুক।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন জিহাদী বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গত পরশুদিন আমাদের সাথে মতবিনিময় সভায় বসেছিলেন। সেখানে তিনি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করেছি এবং ফোরামে আলোচনা করেছি। সে আলোচনার প্রেক্ষিতে আমাদের প্রার্থীদ্বয় নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি আনুষ্ঠানিভাবে। নির্বাচনে আমাদের কোনো এজেন্ট থাকবে না। আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচন কার্যক্রম থেকে সরে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উপর কোনো চাপ নাই। নির্বাচনী পরিবেশ কেমন আপনারা জানেন। বিশেষ করে কি হলো আর না হলো আমরা এমপি সাহেবের অনুরোধে তিনি যেহেতু আমাদের অভিভাবক আমাদের আইন প্রণেতা তিনি আমাদের কাছে আবেদন করছেন আমরা তার সম্মানার্থে সড়ে গেছি।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রাতে ওমর ফারুককে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে ওমর ফারুক বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় এখানকার বর্তমান আ’লীগের চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন সহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে আরো দেড়’শ জনকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে আর থাকেননি। তার সাথে সাথে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী আব্দুস সালামও সরে দাঁড়িয়েছেন। যা নেতাকর্মীদের সমালোচনার সৃষ্টি করে। নিজেদের মধ্যেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক নেতা ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শেষতক ভোটে যদি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা থাকতো তাহলে এবার হয়তো সাইফ উল্লাহ বাদল ও মো. আসাদুজ্জামানের ভরাডুবি ঘটতো। কারণ সুষ্ঠুু ভোট হলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের জয় ছিল নিশ্চিত। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের লোকজন চাপ দিয়েই তাদের সরিয়ে দিয়েছেন।