নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে গণআন্দোলনের ডাক মীর্জা ফখরুলের

আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২১
0

পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনগনের প্রতি এ সময় তিনি সরকারবিরোধী দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে হতাহতের দায় সরকারের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা এই অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আহবান জানাচ্ছি।’

‘অন্যথায় দুঃশাসন, দুর্নীতি ও গণতন্ত্র হত্যার দায় নিয়ে এই অবৈধ সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই দানবীয় কর্তৃত্ববাদী দখলদার বেআইনি সরকারকে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠনের লক্ষ্যে দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।

একদিকে যখন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর আক্রমণ সারা বি সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে বিপদগ্রস্থ করছে জনমন আতংক সৃষ্টি করছে এবং অনির্বাচিত সরকারের উদাসীনতা ব্যর্থতা, দূর্নীতির কারনে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক হারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের সংবিধান ও ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের সংগ্রাম কে এই দখলদারী ফ্যাসিস্ট সরকার দমন করবার জন্য হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পরিমান উদ্বেগ জনক হারে বাড়িয়েই চলেছে।

তখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে এবং সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রা²ণবাড়িয়ায় প্রায় ৭ জন কে গুলি করে হত্যা এবং পরের দুই দিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচীতে বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস সেল, গুলি করে মোট ২০ জনকে হত্যা জাতির জীবনে এক কলংক জনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।

প্রমাণিত হয়েছে যে এই অনির্বাচিত সরকার তাদের বেআইনী ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রের সকল মূল্যবোধকে ধ্বংস করে, একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার হীন চক্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারও মিথ্যা প্রচারণা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে। গত কয়েক দিনের সরকারী বাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক হত্যা, আওয়ামী এজেন্টদের দ্বারা ব্রা²ণবাড়িয়ায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা এবং সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য অডিও নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার, রিমান্ড নেওয়া ও সারা দেশে পুনরায় হাজার হাজার অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানী করার হীন পরিকল্পনা করছে।