নিরপেক্ষ সরকার বলে কিছু নেই , এই কমিশনের অধিনেই নির্বাচন হবে–কাদের

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২২
0
ফাইল ফটো

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকার বলতে কিছু নেই। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া আর কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনাদের নেত্রীই বলেছিলেন। কাজেই পাগল আর শিশু খুঁজে ব্যবস্থা করুন।

রবিবার (২৭ মার্চ) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহান ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

‘নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এখানে সরকারের নিরপেক্ষতার কথা নেই। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয়, সেই ব্যবস্থা ইতিমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান সম্মতভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব করে দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। রোজ-রোজ যে অশ্রাব্য ভাষায় আপনাদের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত গালিগালাজ করে বক্তব্য করেন। যে ভাষা ব্যবহার করা যায় না। তারপরও বলেন গণতন্ত্র নেই। আপনারা কোন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? গালিগালাজের গণতন্ত্র? দেশের প্রাইমমিনিস্টারকে নিয়ে শালিন ভাষায় কথা বলা উচিত।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটি ও মানুষর অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ বন্দুকের নল থেকে জন্ম নেয়নি। কেউ ধমক দিলে পালিয়ে যাবে। রোজ-রোজ ধমকের সুরু কথা বলছে, ফখরুল সাহেব লজ্জা করে না, নিজের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন কোথায়। টেমস নদীর পাড়ে। তিনি কি স্বাভাবিক ভাবে ছুটি নিয়ে লন্ডনে গেছেন? তাওবা করে আর রাজনীতি করবে না বলে মুসলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছিলো কে? তিনি এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পালিয়ে যাওয়া ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আপনাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের যে ইনশাআল্লাহ আরও বেশি শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান,কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, মির্জা আজম,আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা।