নির্বাচন কমিশনে হয়রানী : ইসিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১
0

নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি সাংবাদিক হয়রানির নিরপেক্ষ তদন্ত করে, এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ইসি ভবনের সামনে আয়োজিত সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সাংবাদিকদের এসব দাবি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করা না হলে, সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় মানববন্ধনে।

এছাড়া, নির্বাচন কমিশনে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সংবাদ সংগ্রহ করার নিশ্চয়তা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইসি ভবনে প্রবেশে পুলিশি হয়রানি, সাংবাদিকদের হুমকি ও নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।

নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহকারী সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভসহ সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে দায়িত্বরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধনে তাদের সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সব গণমাধ্যমকর্মীকে মুক্তভাবে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহ করার নিশ্চিয়তা দিতে হবে। সংবাদ সংগ্রহের কাজে তাদেরকে কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।

সবার তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সব সময় তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করে বলে অভিযোগ করে মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, দেশের যে কোনো নির্বাচনের তথ্য প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

শুধু ঢাকার নির্বাচন ভবন নয়, ইসির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের হয়রানি করার অভিযোগ জানান বক্তারা। এছাড়া নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সারা দেশে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ রাখার দাবি করা হয়।

সাংবাদিকরা বলেন, সকল গণমাধ্যমকর্মীকে ইসি ভবনে প্রবেশের পাঞ্চ কার্ড সরবরাহ করতে হবে। এছাড়া, গত ২৯ আগস্ট ইসি ভবনে সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিটি করার দাবি জানিয়ে কমিটিতে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখার দাবি করা হয়।

হয়রানির ঘটনায় জড়িত ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাহার করে তাদের শাস্তির আওতায় আনারও দাবি করেন সাংবাদিকরা।উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট ইসিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জানানো হয়, ইসি ভবনের গেটেই নাম এন্ট্রি করে ভবনে প্রবেশ করতে হবে সাংবাদিকদের।

ওইদিন, দুপুরে ইসির মূল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ হঠাৎ আটকে দেন ইসি বিটের একাধিক সংবাদকর্মীকে। নির্বাচন কমিশন বিটে কাজ করার জন্য ইসির সরবরাহ করা কার্ড দেখানোর পরেও সেই কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ সদস্যরা জানান, নাম ঠিকানাসহ বিস্তারিত খাতায় লিখেই নির্বাচন কমিশনে প্রবেশ করা যাবে।

ইসিতে প্রবেশের সময় আগে এমন নিয়ম কখনো ছিল না উল্লেখ করলে পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যরা তখন আরও জানান, এখন থেকে নাম না লিখে প্রবেশ করা যাবে না।