নীলফামারীতে বিশ্বনবী সা:-কে কুটূক্তি, শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র বরখাস্ত

আপডেট: জুন ১৮, ২০২২
0

নীলফামারীতে বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুটূক্তি করায় ঈশ্বর চন্দ্র নামের স্থানীয় এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করেন।

ঈশ্বর চন্দ্র সদর উপজেলার ককই বড়গাছা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার স্কুলের ১০ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা জোরে কথা বললে ওই বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায় তাদের বলেন, ‘তোমাদের শেষ নবী মোহাম্মদ ছিলেন শয়তান। তোমরাও তোমাদের নবীর মতো শয়তানী শুরু করেছো।’ এ কথার প্রতিবাদ করায় ওই ক্লাসের শিক্ষার্থী মোছা: সাবিকুননাহার ও সাকিল আহমেদকে রুমে ডেকে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখান ওই শিক্ষক। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এলাকার মানুষজন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালীন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনাটি মেনে নেয়ার মতো নয়। আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

টুপামারী ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা শিক্ষকের গ্রেফতার ও বিচার চাই। গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাবো।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর ওই দিনেই শিক্ষক ইশ্বর চন্দ্র রায়কে আমার অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। তখন তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।
শনিবার মানববন্ধন হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।’

লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। মানববন্ধনে আমিও ছিলাম, তবে ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’