আজাদ ভূ্ঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জ ছিল শান্তির জনপদ। গত এক বছর ধরে এখানে সন্ত্রাস চলছে, নৈরাজ্য চলছে। মনে হচ্ছে, এই এলাকার কোন অভিভাবক নেই। তিনি বলেন, এখানে সব নৈরাজ্যের সঙ্গে প্রশাসন জড়িত। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা আমাকে গুলি করেছে, সাংবাদিক মুজ্জাকিরকে হত্যা করেছে, বিচার পাইনি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সব জজ মিয়া। প্রকৃত অপরাধীরা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সরকারী মুজিব কলেজের ছাত্রী শাহনাজ পারভীন প্রিয়তার নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা, পৌরসভা ও মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের যৌথ আয়োজনে বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন সজলের পরিচালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বামনী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রাহাবার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম (সবুজ), চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সোহাগ ও জসীম উদ্দিন শাহীন, সরকারী মুজিব কলেজ প্রভাষক নুর মোহাম্মদ, মেয়র পতœী আক্তার জাহান বকুল, মুজিব কলেজ শিক্ষার্থী কামরুন নাহার, মুজিব কলেজ ছাত্রলীগ সেক্রেটারী আরমান আল ইসলাম তন্ময় প্রমুখ। এ সময় নিহত শাহনাজ পারভীনের বাবা নবী হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক অটোরিক্সাচালককে হত্যার অভিযোগ তুলে কাদের মির্জা বলেন, অটোরিক্সা চালক বলরামকে হত্যা করা হয়েছে। চরফকিরাতে সিএনজি চুরির সময় চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়েছে কে? পুলিশ। এতে কি প্রমাণ হয় না বলরামকে পুলিশ হত্যা করেছে? পরশু রাতে মুছাপুরে ছিনতাইয়ের সময় তিন পুলিশ ধরা খেয়েছে। এখন আপনি জিজ্ঞেস করলে বলবেন এরা সোনাগাজীর পুলিশ। কিন্তু তারা কোন এলাকায় অপকর্ম করেছে? কোম্পানীগঞ্জে। তারা এ কোম্পানীগঞ্জকে কিভাবে বেছে নিয়েছে। নিশ্চয়ই এই ওসি এটার সঙ্গে জড়িত।
তিনি অভিযোগ করেন, এ সকল কর্মকান্ডের সাথে এসপি জড়িত, ওসি ও ইউএনও জড়িত। এখন আমরা এসবের বিচার চেয়ে কী লাভ হবে? খুনির কাছে খুনের বিচার চেয়ে লাভ নেই। আন্দোলন করতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দেব।
এদিকে আবদুল কাদের মির্জা নিহত শাহনাজ পারভীন এর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ও নিহতের পিতা নবী হোসেন এর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
