মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন জেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হাসান সিকদার।
অদ্য সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২.৪৫ মিনিটের সময় শহরের ব্যায়ামাগার মোড়ে কোট থেকে এসে একটি চায়ের দোকানে অবস্থানরত জালে এ হামলার স্বিকার হন বলে জানাযায়।
হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ হামলার জন্য তিনি তার কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জুনায়েদ মিজান ওরফে কেচি মিজানকে দায়ী করেছেন।
এলাকাবাসী ও হাসানের লোকজন জানান, দুপুর পৌন ১টার দিকে হাসান সিকদার সঙ্গীয় ৫-৬ জনসহ ব্যায়ামাগার মোড়ে সাইফুলের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আকস্মিক ৫-৬টি মোটরসাইকেলযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুনায়েদ মিজান ওরফে কেচি মিজান ১০-১২ জন সশস্ত্র যুবককে নিয়ে হাসান সিকদারের ওপর হামলা চালায় এবং জিআই পাইপ দিয়ে বেদম মারধর ও মাথার পেছনে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। আহতাবস্থায় তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, উভয়েই জেলা ছাত্রলীগের একই কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতি ছিলেন এবং একই গ্রুপের ছিলেন। পরে ভাগ-বাটোয়ারা ও টেন্ডার নিয়ে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। তাদের কমিটিও বিলুপ্ত হয় ১০ মাস পূর্বে। পূর্বের ক্ষোভের জের ধরে এ হামলা হয়। তবে হামলাকারী মিজান পটুয়াখালীতে চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত হাসানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।