পদযাত্রায় হামলা করে আহত ৫০০, গ্রেফতার ২০০ ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর লুটপাট করেছে পুলিশ -আ’লীগ— বিএনপির অভিযোগ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
0
11-2-2023 file photo

১১ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে পদযাত্রায় পুলিশ -আ’লীগের হামলায় আহত, গ্রেফতার ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর লুটপাটের তথ্য গনমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে , তারপরও দেশব্যাপি প্রায় সকল ইউনিয়নে গতকাল অত্যান্ত সফলভাবে কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
বিএনপি জানায় , গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচিতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যদিও গত কয়েকদিন বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছিল। তারপরও দেশব্যাপি প্রায় সকল ইউনিয়নে গতকাল অত্যান্ত সফলভাবে কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট, বাকশালী আওয়ামী সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে বানচাল করতে দলীয় সন্ত্রাসী ও কিছু সংখ্যক পুলিশেকে লেলিয়ে দিয়েছিল। গতকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা ও গুলিবর্ষন করে। নরসিংদীর পলাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এছাড়া, যশোহরে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ অমিত-এর উপর ডিবি পুলিশ বর্বরচিত হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠি পেটা করে। গতকাল পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ৫০০ শতাধিক নেতার্মীদের আহত করেছে। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ভাংচুর এবং লুটপাট চালিয়েছে তারা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ২০০ শতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বিএনপি’র জনগণের দাবি নিয়ে যখনি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে ঠিক সেই মূহুর্তে একই স্থানে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠি পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। জনগণের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পুলিশ পাহারায় শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর সকল প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে কোথাও কোথাও সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে বিএনপিসহ নিরিহ জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, জানমালের উপরে হামলা করেছে, যার দৃশ্য আপনার নিজেরাই অবলোকন করেছেন।

গতকাল গতকাল আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা মামলার সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো————
(১) সিরাজগঞ্জ জেলা : সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, কাজিপুর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলা সরকার, ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবু, বাবু আহমেদ, উল্লাপাড়া উপজেলার পুর্নিমাগাতী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামছুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম ও আজিজ মেম্বার, বুলবুল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান রিয়াদ সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রায়গঞ্জ উপজেলার মো: রিয়াজ দানী, মো: ডাবলু রহমান সানোয়ার হোসেন, ইয়াছিন আলীসহ অনেক নেতা-কর্মী কর্মসূচি পালন করার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলায় আহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জে এমপি’র নেতৃত্বে মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর, গরু-ছাগল নিয়ে যাচ্ছে, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, কালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান এর বাড়িতে হামলা চালায়।
(২) জামালপুর জেলা :
জামালপুর জেলার মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শরিফ উদ্দীন আকন্দ, আকবর আলী, চান মিয়া ফকির, সোহেন তানভীর, শাহীনুল ইসলাম, জুলহাস উদ্দীন, লালা মিয়া, হযরত আলী, মোঃ রনি, সুজন মিয়া, রাসেল, বাবু, শরীফ উদ্দীন, সজিব উদ্দিন, আয়নাল, মোঃ মোশারফ হোসেন আক্কাস, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ কাওসার আলম, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ শামছুল আলম, হাফিজুর রহমান, মোঃ মনির, খাইরুল ইসলাম, মোঃ আনার, হযরত আলী, আজগর আলী, কামরুল, সুজন ও জিয়াউল হক সহ বেশকিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসুচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ সদর ও মেলান্দহ উপজেলায় ৩৮ জন আহত হন।
(৩) ফেনী জেলা :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচি পালনকালে ফেনী সদরে জুয়েল, মিজানুর রহমান, আবু জাফর মানিক, মো: ইয়াসিন, জহির চৌধুরী, ইয়াছিন বাবু, মেজবাহ উদ্দিন, ডাঃ দেলোয়ার, জিয়া উদ্দিন, ইমন, অধ্যাপক এম এ খালেক, শাহ্ আলম, হানিফ মেম্বার, কাবুল হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত, জয়নাল, আশ্রাফ মেম্বার, নওশাদ, আবুল বশর, নূর নবী মেম্বার, ফুলগাজী উপজেলার ফরিদ আহম্মেদ, আবুল হাশেম, মাহমুদুল হক মুন্না, আব্দুর রহিম, রিয়াজ, রবিউল হক, রমজান, মাহমুদুল হক মিলন, নাছির উদ্দিন, শামসুদ্দিন সেলিম, সোনাগাজী উপজেলার নুরুজ্জামান, পশুরাম উপজেলার মোস্তফা, ছাগলনাইয়া উপজেলার জামাল উদ্দিন গাজীর উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
(৪) নওগাঁ সদর :
নওগাঁ জেলার বলিহার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান, পিন্টু মেম্বারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনিয়ন যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মভাবে আহত করে এবং আনোয়ার হোসেন প্রাং, এনামুল হক, আজাদুল হক, আতিকুর রহমান পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন। টেলিগ্রাম একঢালা ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা।
(৫) কুষ্টিয়া জেলা : কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিসাত, কৃষকদলের আহবয়াক সাইফুর রহমান সুমন, মোঃ শহীদুল ইসলাম, ছুরাত আলী, হৃদয় হাসান সহ ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার।
(৬) পটুয়াখালী জেলা : পটুয়াখালী জেলার বাউফল, গলাচিপা উপজেলা সহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলায় ৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
(৭) পিরোজপুর জেলা : পিরোজপুর জেলার কাউখালি, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
(৯) নোয়াখালী জেলা : নোয়াখালী সদর কবিরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কামরুল হুদা লিটন, ফজলুল হক খোকনের বাড়িসহ ও চাটখিলের ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এবং পুলিশ হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। সে সময় পৌর মেয়র মোস্তফা কামাল, আবু তাহের কোম্পানী, আয়াত হোসেন বাপ্পি মারাত্মকভাবে আহত হয়। এছাড়া চাটখিল, সেনবাগ বেগমগঞ্জ কর্মসূচিতে স্বশস্ত্র হামলা করেছে। নোয়াখালী সদরে হামলায় প্রায় ২৮ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন, এর মধ্যে সুমন ভান্ডারীর অবস্থা আসঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
(১০) মানিকগঞ্জ জেলা : মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সজিব, এনামুল হক সেকেন্দার, আব্দুল মালেক, আব্দুর রহমান মেম্বার, ফরিদ বিএসসি, মোঃ বাদল ও আব্দুল করিমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সেলিম হোসেন সহ ৩ জন আহত হয়েছে।
(১১) ঝালকাঠি জেলা: আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার মোঃ শেখ লাভলু, মীর আহসান, লুৎফর রহমান, সালাম, মানিক বিশ্বাস, ফরিদ, শহিদুল ও বশির, মোঃ মাহাতাব উদ্দিন, আবুল কালাম বাদল, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ বাচ্চু হাসান খান, মোঃ সেলিম আহসান, মোঃ মুন্না, মোঃ শাহিন মাস্টারসহ প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মক আহত করেছেন।
(১২) গাজীপুর জেলা : গাজীপুর জেলায় শ্রীপুর ও কাপাসিয়ায় পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচিতে হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি নেতা নয়ন, মজিবুরসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
(১৩) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা : ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজার ও লেলাং ইউনিয়নে হামলা করেছে। হাটহাজারীতে শাহজাহান বাদশা, নাছিম মেম্বার, গুরা মিয়া, জাকির হোসেন, মোঃ মোর্শেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
(১৪) নেত্রকোনা জেলা : আটপাড়া উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিঃ সহ সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া, আনোয়ার মিদাম, শেখ রবিন, মোঃ নূরুজ্জামান, দুদু মিয়া, মোঃ মোখলেসুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বারহাট্টা উপজেলার পদযাত্রা শেষ করে ফেরার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি’র সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানী সহ নেতাকর্মীদের গাড়িতে হামলা চালায়। বিএনপি নেতা মো: নূরুজ্জামান, মোঃ শুক্কুর আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আটপাড়া যুবদলের সদস্য সচিব নুর আহমেদ খান নুর ফরিদকে ১নং আসামী করে অগাতনামা আসামী করে মামলা দেয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন রুহুল আমিন, মোখলেছ মিয়া, জুলহাস, মোঃ আরশাদ মিয়া, মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ হাদিস মিয়া, মোঃ আশিক মিয়া, মোঃ আব্দুল হাই, মহিবুল ইসলাম, মোঃ সবুজ মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সলিল খান, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল হাসান। প্রতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করে নেতাকর্মীদের হামলা করে ও তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে এবং পুুলিশ প্রতি ইউনিয়নে তল্লাশি চালায়, নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
(১৫) বরগুণা জেলা : বেতাগী, পাথরঘাটা উপজেলায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। হামলায় আহত হয়েছেন মাসুম বিল্লাহ, সোয়ন, হাদিদ, মিজান, খাইরুল, বেলাল ও আলমগীর।
(১৭) বাগেরহাট জেলা : শরণখোলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। জেলা ও থানায় বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ও তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়, সে সময় তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয়।
(১৮) মেহেরপুর জেলা : জেলা ও থানায় বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ও তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়, সে সময় তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয়, ২১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে।
(১৯) চুয়াডাঙ্গা জেলা : জেলা ও থানায় বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ও তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়, সে সময় তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। দামুরহুদা উপজেলার ৫ জন ও দর্শনা থানার ৪ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
(২০) ঠাকুরগাঁও জেলা : কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বাধা দেয়।
(২১) নাটোর জেলা : নাটোর সদর যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হয়। এছাড়াও পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন মঈনুল ইসলাম রিমন, আসাদসহ বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া ও গুরুদাসপুরে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত এ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ১২ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। সিংড়ায় দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
(২২) টাঙ্গাইল জেলা : করোটিয়া সাদাত কলেজ এর সাবেক জিএস সৈয়দ মান্নান বাবুল, জেলা বিএনপি নেতা সৈয়দ জাবিদুর ইসলাম জাদির সহ ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কালিহাতি উপজেলার কোখদারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলাল হোসেন সহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
(২৩) চাঁদপুর জেলা : কচুয়া উপজেলা যুবদলের সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক এবং কচুয়া থানা যুবদলের সদস্য মোঃ গাজী মিয়া মারাত্মক আহত হয়।
(২৪) ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা : গফরগাঁওয়ের পাগলা থানায় পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। ফুলপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাদের বাড়িঘর ও মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে।
(২৫) ভোলা জেলা : ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার কাজী মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, ফরিদ, মিরাজ শরীফ, ইউসুফ মহাজন, আল আমিন, শামসুদ্দিন, ভোলা সদরের ফারুক গাজী, স্বপন, রাশেদ খাঁ, জিয়ারুল হাওলাদার, মুসা কালিমউল্লাহ, জামিল হোসেন শুভ, আশিকুর রহমান সুজন, সোহাগ, সালাউদ্দিন, রাব্বী হাসান, দৌলতখানের হামিম, সুজন, লালমোহনের ইব্রাহিম, জুলহাস, তজিমউদ্দিনের জাকির হোসেন, ডাঃ ফিরোজ হাওলাদার, মনপুরার, নূরে আলম শামীম, মাকসুদুর রহমান, মোঃ মালেক সহ প্রায় ৩০ জন নেতাকমী পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন।
(২৬) বরিশাল জেলা : বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা ফখরুল হাসান চুন্নু ফকির মারাত্মক আহত হয়। এছাড়াও উজিরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা সবুজ ডালি, রমজান, কাউসার, জামাল হোসেন সহ এই চারজন কে কুপিয়ে আহত করেন। তারা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বরিশালের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে শুক্রবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ দফায় দফায় হামলা করেছে । রাতে ইউনিয়নের মাগুরা বাজারে বিএনপির সমর্থকদের একটি বসতবাড়ি, তিনটি দোকান ও একটি মুদি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। অন্যদিকে, মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ায় পদযাত্রা শেষ হওয়ার পর দু’বার হামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
(২৭) খুলনা : পাইকগাছা উপজেলায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
(২৮) লহ্মীপুর জেলা : লহ্মীপুর উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল পাটোয়ারীর বাড়িতে হামলা করেছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘুলি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তানজিদ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
(২৯) নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাচ্চুসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। পলাশ উপজেলার জিনাবদী ইউনিয়নে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের পদযাত্রায় পুলিশ বাঁধা দেয় এবং তাঁর ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এখান থেকে চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
(৩০) মাগুড়া জেলার সদর থানার চাউলিয়া ইউনিয়নের ১ জন, কছুন্দী ৩ নেতাকর্মীকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।
(৩১) যশোর জেলা : যশোর শহরতলীর ফতেপুর ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রায় বিএনিপর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এর উপর ডিবি পুলিশ হামলা করে। এছাড়াও অভয়নগর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম হায়দার ডাবলু, বিভিন্ন ইউনিটের ২১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা হলো:-জাহাঙ্গীর, নেছার আলী, সিরাজুল ইসলাম মানিক, মাহবুবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, সহিদ হাসান সাবু, ইব্রাহীম, ফজলুল আলম, মেহেদী হাসান, মফিদুর রহমান, সামাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আইনুল মোল্লা, সোহাগ মন্ডল, হাফিজুর (কচুয়া), সাদ্দাম (বেজপারা), সোলায়মান, শাহজাহান মুন্সি ও মিঠু সিকদার। কোতয়ালী থানায় আওয়ামীলীগের হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
(৩২) রাজশাহী জেলা: মোহনপুর উপজেলা বিএনপি অফিসে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও পুলিশ হামলা করে ভাংচুর করেছে।
(৩৩) নারায়ণগঞ্জ জেলা: রূপগঞ্জ উপজেলায় ১ জন গ্রেফতার। আড়াইহাজার উপজেলায় কর্মসূচিতে গুলিবর্ষনে ৫০জন আহত।
(৩৪) কিশোরগঞ্জ জেলা: ভৈরব, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকার, আশিকুর রহমান নয়ন, সাজন মিয়া, কাকন মিয়া, লুৎফর রহমান, আবু সাঈমসহ ৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলায় পদযাত্রা করার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ নেতাকর্মীকে আহত হয়।
(৩৫) ময়মনসিংহ উত্তর জেলা: গৌরিপুর উপজেলার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষন করে ২৫ নেতাকর্মীকে আহত করে ও ১টি প্রাইভেট, ২টি মটরসাইকেল সহ শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসমতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এতে ১০জন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয়। রাতে গামারীতলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের নামে গায়েবী মামলা দেয়া হয়।
(৩৬) ঢাকা জেলা: আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা পরবর্তী সময় ধামসোনা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সবুজ, রাতুল, তন্ময়, ইয়ামিন, রাজিব ও রাকিবকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
(৩৭) পঞ্চগড় জেলা: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা উপজেলায় প্রায় ১৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
(৩৮) কক্সবাজার জেলা: আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় রামু উপজেলার জোয়ারিনালা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আহত হয়েছেন।
(৩৯) পাবনা জেলা: পাবনা সদরে দোগাছা ইউনিয়নে সমাবেশ চলাকালে পুলিশ হামলা চালায় এবং বিএনপি নেতা লিটন ও লালুকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে প্রায় ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
(৪০) নড়াইল জেলা: নড়াইল জেলায় ৪ জন গ্রেফতার ও ৫ থেকে ৬ জন মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
(৪১) রংপুর জেলা: রংপুর জেলায় মোঃ চান মিয়া, মোঃ মোমিনুল, মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ কর্তৃক হামলায় মারাত্মক আহত হয়।
(৪২) লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ফকিরপাড়া ইউনিয়নের জোড়াপুকুর এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপি’র ৬ জন আহত হয়েছেন । আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির (৫৫), বিএনপি কর্মী ছাদেকুল (৩০), মোহন (৩৫), আশরাফ আলী (৪০), সাফি (২৮), আমিনুর রহমান (৫৫) ও আজিজুল ইসলাম (৪৫)।
(৪৩) কুমিল্লা জেলা : মুরাদনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পদযাত্রায় পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে মোঃ সাহিন, মোঃ সচিব, লালুমিয়া, সজল মুন্সি, আমজাদ, সুমন মিয়া, আক্কাছ মুন্সি, কামাল চৌধুরী, জামাল উদ্দিন, রফিক মিয়া, মনির হিরু মিয়া, তাঁরা মিয়া আহত হয়।

আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা সত্ত্বেও গণতন্ত্রকামী জনতা দানবীয় সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে এসে কর্মসূচি সফল করে প্রমাণ করেছে, এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন। যুগে যুগে কোন অত্যাচারী সরকার জুলুম, নির্যাতন করে টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না। গত ১৪ বছর ৫০ লক্ষ নেতা-কর্মীদের বানোয়াট নামে মামলা করে এবং সহশ্রাধিক নেতা-কর্মীকে খুন-ঘুম করেও বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ দেশের গণতন্ত্রাকামী জনগণকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার দমাতে পারেনি তাই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে, সরকারের বিদায় ঘন্টা ততই ত্বরান্বিত হবে। তাই আমি বলতে চাই, এখনও সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে সংসদ বাতিল করে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে বলতে চাই, নিরীহ, নিরাপরাধ জনগণের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করুন। সকল অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। আমি গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকমীর মুক্তি দাবি করছি। আহত নেতা-কর্মীদের সুস্থতা কামনা করছি। এইসকল অপকর্মের সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আওয়ামী নামধারী প্রশাসনের কতিপয় চিহ্নিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।