পল্লবীতে দখলদারের বিরুদ্ধে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান

আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবীতে পল্লবীতে দুটি প্লট দখলমুক্ত করেছে জাতীয় গৃহায়ন
কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

অভিযানে মিরপুর ১১, এভিনিউ ৫, ১৭ নম্বর লাইনের সি ব্লকের ২০ নম্বর
টিনশেড বাড়িটি এক্সকেভেটর মেশিনের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

ডিএনসিসির ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিকের অনুসারীরা এক
দশকেরও বেশি সময় ভোগ দখল করে আসছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। উচ্ছেদ
করে জমির প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেয়ার পরে অবশিষ্ট অংশ সিটি কর্পোরেশনের
রাস্তা সম্প্রসারণে ব্যবহার হবে বলে জানান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের
নির্বাহী প্রকৌশলী।

বাড়িটির মালিক আলেয়া বেগম বলেন, ১৯৯৫ সালে ভাড়াটিয়া হিসেবে আমার স্বামীর
বাড়িতে প্রবেশ করেন লিয়াকত মিয়া নামের ব্যাক্তি। চলতি বছরের শুরুতে আমি
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে পুনঃনির্মানের অনুমতি পেলে নির্মাণ কাজ শুরু
করি। তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগীরা আমাদের বাড়ির নির্মাণ কার্যক্রম
জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। আমরা কারণ জানতে চাইলে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা
মামলা দেয়া হয়। ওই মামলায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মাদ আলি আড্ডুকে
অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়। বারবার দখল নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা ও মামলার
শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মাদ আলি আড্ডু বলেন, চলতি বছরের ১১ই
ফেব্রুয়ারি শুনতে পাই যে আমার বন্ধু রিপনের খালার বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ
করে দেয়া হয়েছে। তখন আমরা খোঁজখবর নিতে আসলে এখানে কাউকে পায়নি। কিন্তু
ওইদিন রাতেই স্থানীয় কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিক ও তার সহযোগীরা আমার
বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় যে আমি ও আমার কর্মীরা নাকি এখানে দখল করতে
এসেছিলাম। পরে হামলার ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেয়া
হয়। এরকম করে মানিক ও তার ঘনিষ্ঠজনরা মিরপুরের অনেক বাড়ি দখল করেছে। এ
অভিযান পরিচালনার জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তপক্ষ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান
তিনি।

তবে কাউন্সিলর মানিকের সাথে যোগাযোগ করলে দখলে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ
অস্বীকার করেন স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেন,
আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।