পাকিস্তান এখন চোরদের দখলে: ইমরান খান

আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২২
0

পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশিদের ইন্দন পেয়ে তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর দেশ এখন চোরদের দখলে চলে গেছে। এখন আবার বিদেশি অনুদানের অর্থে তার দলকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ারও ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করার মাধ্যমে ইমরান খান বর্তমান জোট সরকারকে একহাত নিয়েছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তাকে বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হটানোর পর চোরদের হাতে এখন দেশটা চলে গেছে। ২২ কোটি মানুষের ওপরে একটা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইমরান খানকে ষড়যন্ত্রে ফেলার পেছনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফ
যুক্ত রয়েছেন বলে উল্লেখ করে করাচিতে এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, বার বার মিথ্যা কথা বলে নওয়াজ শরিফ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন তিনি ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ অনুদানসংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন ইমরান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, পিটিআইকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় করার জন্য মামলা দেওয়া হয়েছে। ইমরান বলেন, আমি বলব, বিদেশি অনুদানের মামলা ও তার (শাহবাজ শরিফ) বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলার শুনানি এক সঙ্গে হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি যেদিন পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সেদিনই এসব মামলা আকস্মিকভাবে স্হগিত করে দেওয়া হয়। এমনকি ঐসব মামলার সরকারি আইনজীবীকেও আদালতে উপস্হিত হতে নিষেধ করা হয় বলে ইমরান খানের আইনজীবী দাবি করেছিলেন।

সমাবেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান দর্শক-শ্রোতাদেরকে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য অনুরোধ করেন। যেন তারা বুঝতে পারেন, ইমরানকে অপসারণের ক্ষেত্রে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করেছে কি না। যারা বিশ্বাস করেন ইমরানকে উত্খাতে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তাদের হাত তুলে সমর্থন প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি। পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ইমরানের দাবি, তিনি যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, তত দিন মানবতার জন্য কাজ করেছেন। কোনো দেশের বিরুদ্ধে অবস্হান নেননি।