খুলনা ব্যুরো ঃ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালি ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থনে আচরন বিধি লঙ্ঘন করে মিছিল ও শোভাযাত্রা করতে নিষেধ করায় পুলিশের উপর হামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের বাগারদাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নৌকার কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাগুরখালী ক্যাম্প ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ( ৪৬), সহকারী ইনচার্জ এ এস,আই মোঃ জাকির হোসেন (৩৫`) , কন্সটেবল রুবেল শেখ (৩৫)। আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিপক্ষে নানা উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। নির্বাচনী আচরন বিধি অনুযায়ী রাত ৮ টার পর কোন রকম প্রচার প্রচারনা এবং মিছিল করা যাবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে। এদিকে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিমল সানা আচরণ বিধি লংঘন করে মাগুরখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পেরেক দিয়ে সেটে গাছে ফেস্টুন লাগিয়েছেন এবং মাগুরখালী এলাকার অধিকাংশ ভ্যান ও ইজিবাইক চালককে নৌকা প্রতিক ও প্রার্থীর নাম পরিচয় ছবি সম্বলিত টি শার্ট বিতরণ করে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাই মাগুরখালী ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মিছিল কারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় মিছিলকারীদের মধ্যে অনিমেষ মিস্ত্রী, বামানন্দ মন্ডল, তুষার ঢালী, সুকৃতি গাইন, সুশান্ত বিশ্বাস, মাইকেল রায়, স্বীকৃতি সরকার সহ ৪০/৪৫ জনের একটি দল লাঠি সোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আহত হন ক্যাম্প ইনচার্জসহ কয়েক জন । এদের মধ্যে তিনজন রাতে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বর্তমানে আহত পুলিশ সদস্যরা মাগুরখালী ক্যাম্পে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নৌকার কর্মীবাহিনী পুলিশের তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এদিকে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করায় হরেন সরদার নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাগুরখালী স্কুলের সামনে নৌকা প্রতীকের অফিসে নিয়ে বেদম মারপিট করেন বিমল কৃষ্ণ সানার কর্মীরা।
অপরদিকে নৌকার লোকজন প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজিৎ কুমার মন্ডলকে ফাঁসাতে শিব নগর বাজারের আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে ।
এ বিষয়ে সুজিৎ কুমার মন্ডল জানান,তিনি হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার সময়ে নিজ বাড়ির পাশে কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ভাংচুরের ঘটনার কথা পরে শুনেছি।
এই ঘটনার পর শুক্রবার পুলিশের উর্ব্ধতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে আচরন বিধি লঙ্ঘন করে মিছিল, শোভাযাত্রা করা এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিমল কৃষ্ণ সানা,মাগুরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরজিত কুমার রায়সহ তার আরো দুই কর্মীকে শুক্রবার রাতে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।