পেট্রাপোলে ধর্মঘট : বন্ধ থাকবে আমদানি-রফতানি

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২
0
file photo

আগামী ৩১ জানুয়ারি সোমবার থেকে বেনাপোলের বিপরীতে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনসহ ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন।

পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজার নতুন নতুন আইন তৈরি করায় ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

আমদানি-রফতানি কাজে নানা হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা। পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদাদি-রফতানি বন্ধ থাকবে।

পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, কোভিড-১৯-এর ফলে তাদের ব্যবসা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে সাত শ’ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে রফতানি হতো। করোনায় এখন মাত্র সাড়ে তিন শ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হচ্ছে।

এরপর নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে আমাদের বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন কর্মীদের বন্দর অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। পরিবহন কাজে জড়িত কর্মীদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তারা পেট্রাপোল সেন্ট্রাল পার্কিংয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। আমদানি-রফতানি কাজে বন্দরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ৩১ জানুয়ারি সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দু’দেশের মধ্যে আমাদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

তিনি আরো বলেন, ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনো পরিবহন কর্মীকে আইসিপি ও বন্দর অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দর অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে না পারায় আমদানি-রফতানি কাজে জড়িতদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এসব সমস্যার ফলে গত সপ্তাহে দু’দিন ৪ ঘণ্টা করে বাংলাদেশে পন্য রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ব্যবসায়ীসহ পরিবহন কর্মীদের দাবি, নতুন কার্ড তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন নিয়মে তাদেরকে আইসিপিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, আমদানি-রফতানি বন্ধ বা পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কোনো পত্র আমরা পাইনি। শুনেছি ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। তবে আন্দালন না করার জন্য ওপারে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রশাসনের বৈঠক চলছে। আমদানি-রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকলেও আমাদের বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।