প্রজ্ঞার পরিচয়ে বড় বড় কাজ করে ফেলছেন এখন দেশের মানুষের দিকে নজর দিন — প্রধানমন্ত্রীকে ডা. জাফরুল্লাহ

আপডেট: জুন ২৫, ২০২২
0

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। যেমনটা তার বাবা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭১ সালের ৭ মার্চ। শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। জাতি এতে গৌরবান্বিত।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার সকাল ১০টায় এই সমাবেশে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সাড়ে তিন হাজার বিশিষ্টজন এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাদের মধ্যে একজন। তিনি হুইল চেয়ারে করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক, সমাজের নানা পেশার বিশিষ্ট নাগরিকেরা অংশ নেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সবাই বলেছিল, এই সেতুর নাম হাসিনা সেতু করতে। তিনিসেটা করেননি। পদ্মা সেতু নাম রেখেছেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন।ইতিহাসে অনেক কিছু দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। এবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখলাম।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন দেশের মানুষের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বড় বড় কাজ করেই ফেলেছেন। এখন মানুষের দিকে নজর দিতে হবে। সবাই একত্রে মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাওয়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবনে হিউমারটা বেশি ঢুকে
পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিউমার করে বলেছেন চুবাব বা উঠাব, এটিকে এত বেশি সিরিয়াসলি না নিলেই হতো।

উনাকে (খালেদা জিয়া) নিমন্ত্রণ দেয়া উচিত ছিল, জামিনটা দেয়া উচিত ছিল,
তাদের আসা উচিত ছিল। আমি সৎ পরামর্শই দিই সরকারকে। আমার পরামর্শগুলোর অর্ধেকটা নেন প্রধানমন্ত্রী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খরস্রোতা নদী পদ্মার বুক চিরে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু। এ সেতু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। বেশ কয়েকটি বিশ্বরেকর্ডের বুকে নাম উঠেছে পদ্মা সেতুর। আর এসবই হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে। বিশ্ববাসীর কাছে বিস্ময় যে বিষয়টি। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পদ্মা সেতুতে অ্যাম্বুলেন্সের টোল
ফ্রি করে দিতে অনুরোধ জানান।

মাওয়া ঘাটের সমাবেশের পর প্রধানমন্ত্রী গাড়িযোগে সেতুর দিকে যান। তিনি নিজ হাতে টোল দেন। পরে ফলকের স্থানে এসে ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি জাজিরা প্রান্তেরও ফলক উন্মোচন করেন।