প্রধানমন্ত্রী হারাম মনে করেন :ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে কোনো আইন পাস হবে না ইনশাআল্লাহ—

আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
0
home file photo

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোপূর্বে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করেনি, ভবিষ্যতেও মুসলমানদের দেশে ইসলামবিরোধী কিছু পাস করা হবে না। তাছাড়া ট্রান্সজেন্ডার অর্থাৎ ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে পরিচয় দেয়া কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে পরিচয় দেয়া- সরকার এটির বৈধতা দেবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেটা ইসলামে হারাম সেটাকে আমিও হারাম মনে করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও হারাম মনে করেন। কাজেই ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে সংসদে কোনো আইন পাস হবে না ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ার (যাত্রাবাড়ী মাদরাসা) দস্তারবন্দী ও খতমে বুখারি অনুষ্ঠানে স্বারষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান এ দেশের একজন মান্যবর আলেম। তাকে আলেমরা যেমন শ্রদ্ধা করেন আমরাও তেমন শ্রদ্ধা করি। আমারা অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান হুজুর থেকে পেয়ে থাকি। মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব বাংলাদেশের উলামাদের মাঝে শান্তির প্রতীক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার উলামায়ে কেরামের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে যথেষ্ট যত্নবান। জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম, তাবলিগ জামাত, পটিয়া মাদরাসাসহ দেশের চলমান বিভিন্ন সঙ্কট নিরসনে আলেমদের পাশে চায় সরকার।

উলামায়ে কেরামের কাছে বিশেষ আবেদন, আপনারা ইসলাম, মানবতা ও শান্তির বার্তা দেশময় ছড়িয়ে দিন। ইসলামের বদনাম করা ও ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা মরিয়া হয়ে কাজ করছে। আজ পুরো বিশ্বের মুসলমান ষড়যন্ত্রের শিকার। ওদের ভাষ্য হলো, মুসলিম মানেই হলো সন্ত্রাস! বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম যদি সোচ্চার ভূমিকা রাখেনে, তাহলে শত্রুর সকল ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হবে। আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের উলামা বা মাদরাসার কেউ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত নয়।

বাংলাদেশের মুসলমাদের মতো এতো ধর্মপ্রাণ মুসলমান পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আপনারা ইসলাম দেশ ও মানবতার সেবায় কাজ করুন। ইনশাআল্লাহ, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে।

বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির ‘মহিউস সুন্নাহ’ খ্যাত আল্লামা মাহমূদুল হাসানের বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় খতমে বুখারির আনুষ্ঠানিকতা। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।