নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার জন্য এদেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছেন। মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল করতে গেলে পাকিস্তানী হানাদাররা নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেককেই।
ভাষার জন্য এদেশের ছাত্র-জনতার সেই আত্মত্যাগ আজ সবাই প্রাণভরে স্মরণ করছে। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ দেশের সর্বত্র দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সর্বস্তরের জনতা ফুলের শ্রদ্ধা জানান। রাত ১২ টা এক মিনিট থেকে শুরু হয়ে শ্রদ্ধা জানানো এখনো অব্যাহত আছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে ফুল দেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানগণ জেনারেল আজিজ আহমেদ, এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর মন্ত্রিসভার সদস্যগণের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা ফুল দেন। এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা ফুল দেন।
পরে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ আনসার গ্রাম ও প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর বিরোধী দলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বিদেশি সংস্থার প্রধানরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাবি শিক্ষকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একুশের প্রথম প্রহরে ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, গণসংহতি আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
