ফের জমি দখল : আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফের ভিটার জমি দখল করে তৃতীয় দফায় অবৈধ রাস্তা নির্মান

আপডেট: মে ১৬, ২০২৩
0

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা সদরের মধ্যে আমতলীতে কবলা ক্রয়কৃত বসত ভিটার জমি জোর পূর্বক ফের (পূন:রায়) দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বামনা থানায় সাহেব আলী গংয়ের জমি প্রতিপক্ষরা দখল করে রাস্তা জোর পূর্বক দখল করে রাস্তা তৈরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও সেই আইনী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফের আবারও বসত ভিটার জমি দখল করছে তারা। একদল সংবাদকর্মী সরেজমিনে গেলে এমন অভিযোগের সততা দেখা যায়। এ ঘটনায় বরগুনা এডিএম কোর্ট সাহেব আলী গাজির মামলাটি পছিকেশন আমলে নিয়ে দ্রুত আইনী ব্যবস্থার করবেন।
এ বিষয়ে সাহেব আলী গাজি জানান, আমাদের ক্রয়কৃত বসত ভিটার জমি জোর পূর্বক দখল করে বামনা সদর ইউনিয়নের মধ্যে আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মন্নান জোমাদ্দার ওরফে পনু জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেন ওরফে ইন কবির। তারা ৮ ই মে রাস্তা নির্মান করতে শুরু করলে আমি গত ১০ ই মে ২০২৩ ইং তারিখ তাদের বিরুদ্ধে বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ ঘটনাস্থালের রাস্তার নির্মান কাজ বন্ধ করে। তারা স্থানীয় শালিসী ব্যবস্থা করলে এদিন রাতেই আবার সাহেব আলী ও তার বড় ভাই আইউব আলীকে আবারও মারধর করেন। এসময় তিনি বামনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন থানা পুলিশ ও ওসি তদন্ত তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। পক্ষান্তরে বিবাদীরা আইনী শালিস বা বিচার ব্যবস্থা না মেনে ফের আবার ভিটার জমি দখল করে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করছে। তারা থানা পুলিশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব দখলদারী চালিয়ে যান। এমন ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনায় উল্লেখ আছে যে :
গত ৮ই মে দুপুরে বামনায় জমি দখল করে অবৈধ রাস্তা নির্মান ও প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় সাহেব আলী নামের একজন থানায় জিডি করে বাড়ি ফেরায় তাকে বেধরক মারধর করেন। এসময় তিনি আহত অবস্থায় সাবেব আলী বামনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সেদিন
আহত সাহেব আলী জানান, মধ্যে আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মন্নান ওরফে পনু জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেনের সহিত পূর্ব থেকে আমার জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে, এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ ই মে ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় আমার বাড়ির উঠানে বসিয়া উল্লেখিত বিবাধীগন অহেতুক আমি সাহেব আলী ও আইউব আলীর সাথে অহেতুক তর্ক বিতর্ক করার এক পর্যায়ে অকথ্য বাসায় গালি গালাজ করিয়া চলিয়া যাচ্ছেন এমনই সময় ঠিক আমার ভাই আইউব আলী প্রতি উত্তর করিলে উল্লেখিত সকল বিবাধীরা আমি ও আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুশি মারিয়া একখানা লাঠি দিয়ে শরীলের বিভিন্নস্থানে পিঠাইয়া ফুলা জখম করে ফেলে রেখে যান। পক্ষান্তরে এসব বিবাধীরাই পূনরায় আমাদেরকে বিভিন্ন নানান ধরনের ভয়-ভীতিসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় আমার আত্মচিৎকারে ঘরের লোক এসে আমাদের ( সাহেব আলী গাজি গং) উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আমরা এহেন অবৈধ দখল বাজ ( বাড়ির ব্যক্তি রাস্তা তৈরি ) দখলবাজদের বিচার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।

আরেক ভূক্তভোগী আইউব আলী গাজি গং জানান, স্থানীয় এহেন ভূঁইফোন লোভী সালিশগন নামে জোর পূর্বক ক্রয়কৃত ও মাতৃর্ক সম্পত্তির জোর পূর্বক অবৈধ রাস্তার নামে অহেতুক জমি দখল করার বিচার ও তীব্র নিন্দা জানাই। তারা গায়ের জোরে অবৈধ পন্থায় গত বুধবার দুপুরে জোরপূর্বক এ রাস্তা অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মান করেন প্রতিপক্ষ মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মন্নান জোমাদ্দার ওরফে পনু জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেন জোমাদ্দার ওরফে ইন কবির।
তিনি আরো জানান, ওসির নির্দেশে থানা পুলিশের সহযোগিতায় শালিক বৈঠকের আগেই তারা অবৈধভাবে আজ সোমবার সকাল থেকে ফের আবারও এ রাস্তা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে সকালে ফের মাটি কাটার (রাস্তা নির্মান) খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহোযোগিতা চাইলে থানা থেকে পুলিশ ও দুইজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিতির হয়ে জানতে পারেন যে, একতর্ফা অবৈধ ভাবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাস্তা নির্মান করেন। এক পর্যায়ে রাস্তা তৈরি কাজে একজন মিলন বয়াতি জানান, আমাদের কাগজ পত্র আছে কি না তাহা আমি জানিনা,আমার রাস্তা দরকার তাই জসিম উদ্দিন পিন্টু শালিসদার আমাদের রাস্তা তৈরি করতে বলছেন। তারা আরো জানান জসিম উদ্দিন পিন্টু নাকি তাদের রাস্তা নির্মান করতে একটা প্রতিবেদন তৈরি দেন। সেখানে নাকি বিবাদীগন শালিস মানেন না এমন কথাও না সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা আছে। আমরা এ প্রতিবেদন চাইলে তারা এমন প্রতিবেদন কপি দেখাতে পারেন নাই।

জানা যায়, পার্শের একটি মসজিদে নামাজ পরতে দিবে না,সেখানকার মজজিদটি তারা তালাবদ্ধ করে রাখতেও চান। এ বিষয়ে আরো মদত দিচ্ছেন স্থানীয় মৃত্যু :আবদুল মজিদের ছেলে হাজি নুরুল ইসলাম, হাজি আবদুর রহিম হাওলাদার পিতা মৃত্যু সফিজ উদ্দিন হাওয়ার এবং হাজি সেলিম আকন পিতা মৃত্যু লতিফ আকন।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক থানা এ ঘটনায় আদালতে প্রোসিউশন পেতে অনুমতি চাইলে বিজ্ঞ বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তদন্তে বিবাদীরা দোষী হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবেন।