বরগুনার আলোচিত হৃদয় হত্যা : ১২ আসামীকে ১০ বছর ও ৪ আসামীকে ৭ বছর আটকাদেশ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
0


গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :

বরগুনায় আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিজ্ঞ বিচারক মশিউর রহমান খান এ রায় দেন। এ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১২ জনকে ১০ বছর ও চারজনকে ৭ বছরের আটকাদেশ ও তিনজনকে খালাস রায় দিয়েছেন। এ বিষয়টি দৈনিক নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত সুজন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ২০২০ সালের ২৬ মে রাতে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বরগুনা থানার পুলিশ পরিদর্শক শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর ১৬ জনকে শিশু অভিযুক্ত ও ৯ জনকে প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে আসামি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদী চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করলে শিশু অভিযুক্ত হিসেবে রবিউল, নাইম ও রাব্বিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই অভিযুক্ত ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত রায় প্রদান করেন।

মামলার বাদী ফিরোজা বেগম এজাহারে অভিযোগ করেন, তার একমাত্র ছেলে সুজন হৃদয় (১৬) বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ঘটনার দিন ২০২০ সালের ২৫ মে ঈদের দিন বিকাল অনুমান সাড়ে ৫ টায় বাদীর ছেলে সুজন হৃদয় তার কিছু বন্ধুসহ বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে জাফর সিকদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে বেড়াতে যায়।
আসামী রফিক কাজীর নির্দেশে মামলার অন্যতম আসামী হেলাল মৃধার নেতৃত্বে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু অভিযুক্ত ১৯ জন ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৯ জন আসামী সুজন হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করে। প্রাপ্ত বয়স্ক ৯ জন আসামীর মামলা বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
১০ বছরের আটকাদেশ ১২ আসামী হলেন : ইউনুছ কাজী অরফে ইউনুছ,মো: রানা আকন, মো: ইমন হাওলাদার,মো: জুয়েল কাজী,মো: নয়ন, হাওলাদার (পলাতক),মো: সজিব (পলাতক),নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর,সিফাত ইসলাম (পলাতক),মো: মোশারেফ,মো: সাইফুল মৃধা,মো: রাব্বি।
৭ বছর মেয়াদে ৪ জন আসামী হলেন : মো: সাগর গাজী, মো: সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী, মো: ফাইজুল ইসলাম।

৩ জন আসামী বেখসুর খালাস : মো: শফিকুল ইসলাম, মো: নাঈম কাজী,মো: রবিউল ইসলাম। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্ত আসামি পক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন ও মোস্তফা কাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র পক্ষ মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করে বিজ্ঞ বিচারককে অভিনন্দন জানাই।