বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এর রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেট: জুন ২, ২০২২
0

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)-এর রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অদ্য ০১ জুন ২০২২ তারিখ মায়ানমারের মংন্ডুতে বিজিবি-বিজিপি রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কমান্ডার, নম্বর (১) কমান্ডিং অফিস, মংন্ডু-এর Police Brigadier General Htet Lwin-এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিজিপি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। অপরদিকে, বিজিবি’র রিজিয়ন সদর দপ্তর, কক্সবাজার এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব (Najm-Us-Sakib), এএফডব্লিউসি, পিএসসি-এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দও ছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মায়ানমারের মন্ডুতে পৌঁছালে মায়ানমার প্রতিনিধিদল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধানকে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) কর্তৃক ‘গার্ড অব অনার’প্রদান করা হয়।

সম্মেলনে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, মায়ানমার হতে অবৈধভাবে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ (আইস) সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার, মায়ানমার হতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী/দুষ্কৃতিকারীদের ক্যাম্প/আস্তানা অপসারণ, সীমান্তে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) স্থাপন, মায়ানমারের কাঁটাতারের বেড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন, অসতর্কতা/ভুলবশতঃ আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিস (বিএলও) এর কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও সম্মেলনে মায়ানমারে কারাভোগ শেষে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষমান বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এবং আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিজিবি প্রতিনিধিদল মায়ানমারে কারাভোগ শেষে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষমান ০৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় প্রতিনিধিদলের প্রধান একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্মেলন শেষে অদ্য বিকেলে বিজিবি প্রতিধিদল বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ সীমান্ত সম্মেলন ১৯ অক্টোবর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়।