বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য একমাত্র সুলভে গরীবের স্বাস্থ্যসেবা দেয়: ডা. জাফরুল্লাহ

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১
0

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেন প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা সুলভে গরীবের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। আমরা চাই আপনারা চিকিৎসা পান, আপনার সন্তানরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করুক।

২০০ টাকার বিনিময়ে গণস্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যবীমা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা সবাই গণ স্বাস্থ্যবীমা করবেন। রিকসা, ভ্যান চালক, ফুটপাতের ছোট দোকানদার, হকাররা মাসে ২০০ টাকা অর্থাৎ দিনে ৭ টাকার বিনিময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই গণ স্বাস্থ্যবীমা করতে পারবে। ২৪ ঘণ্টার গণস্বাস্থ্য স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। ঘনবসতি এলাকায় এসে গরীব অসহায় এবং রিকসা, ভ্যান চালক পরিবারের সদস্যদেকে সপ্তাহে ১ দিন বিনা পয়সায় গণস্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেয়। সরকার চাইলে সারাদেশে গণস্বাস্থ্যেরমত জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃতি করতে পারেন। এতে সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হবে এবং জনগন উপকৃত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) মীর হাজীরবাগ আবু হাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে স্বল্প আয়ের মানুষ, রিকসা ও ভ্যান চালকদের মাঝে ডেঙ্গু মশার আক্রান্ত থেকে পরিত্রাণের জন্য গণস্বাস্থ্যে সহয়তা কেন্দ্র মশারী এবং ঔষধ ভিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সমাজ সেবক ও সংগঠক মোজাম্মেল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদরে চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিটিক্যালের জি এম মো: মামুন, বিভাগীয় প্রধান মো: রোকনুজ্জামান, এজিএম মো: আতিকুর রহমান, স্থানীয় সমাজসেবক এডভোকেট তারিকুল ইসলাম লিটন, জাহিদ এ রেজা, মহিলা নেত্রী আফরোজা হক মুক্তা প্রমূখ।

মশারী ভিতরণ নিয়ে ডা. জাফরল্লাহ বলেন, এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুর মশার কামুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এর থেকে বাচাঁর উপায় হচ্ছে আপনারা দিনের বেলায়ও মশারী টাংগাবেন। নিজেদের বাড়ীঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

নিন্ম আয়ের মানুষের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা কেউ ধুমপান করবেন না। করোনা থেকে বাঁচার জন্য সবাই মাস্ক পড়বেন। মাস্ক আপনাকে বাঁচাবে, অন্যকে বাঁচাবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আপনার ভ্যান-রিকসার মালিক হোন। রিকসা যে চালাবে, ভ্যান যে চালাবে তিনিই ভ্যান-রিকসার মালিক হবে। অন্য কেউ এর মালিক হতে পারবে না।