বাংলাদেশে শুরু হলো ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২০২৪’

আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২৩
0

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩:

স্নাতকশিক্ষার্থীদে রজন্য বাংলাদেশে আইসিটি প্রতিযোগিতা চালু করেছে তথ্যওযোগাযোগপ্রযুক্তি(আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। আজ থেকে শুরু করে ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত যেকোনো বিষয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশনিতেপারবেন। বাংলাদেশ পর্বে ছয় জন বিজয়ী পাবেন ল্যাপটপ এবং রিজিওনাল পর্বে বিজয়ীরা (আঞ্চলিক)যাবেনচীনের গ্লোবাল ক্যাম্পে।

হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতা একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট যা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হুয়াওয়ে অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছু নির্দিষ্ট কোর্স দেওয়া হবে। ‘নেটওয়ার্ক ট্র্যাক’, ‘ক্লাউড ট্র্যাক’ এবং ‘কম্পিউটিং ট্র্যাক’ এ তিনটি ভাগে কোর্সগুলোকে ভাগ করা হবে। প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনেরসময়শিক্ষার্থীরা যেকোনো একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন।

প্রতিযোগিতায়বিভিন্নধাপপারহওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের অধ্যয়ন, প্রস্তুতি ও মক টেস্টে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে। ন্যাশনাল, রিজিওনালঅ্যান্ডগ্লোবাল(জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক)-তিনটিপর্যায়েএ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ন্যাশনাল রাউন্ডের আগে একটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও হবে।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনলাইনে ন্যাশনাল রাউন্ডের পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় সত্য/মিথ্যা (ট্রুঅরফল্স), এককথায়উত্তর এবং একাধিক-উত্তরসম্বলিত প্রশ্ন (মাল্টিপল-আনসারকোয়েশ্চেন্স) থাকবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন, অর্থাৎ মোট ৩০ জন, শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে যথাক্রমে ‘মেট বুক বি৩-৪২০ আই৫’ ও ‘মেটবুক বি৩-৫২০ আই৩’। তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ‘হুয়াওয়েওয়াচ জিটি৩’, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হবে হুয়াওয়ে ফ্রিবাড্স ৫’ এবং জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে দশম পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ‘হুয়াওয়েব্যান্ড ৮’।

প্রতিযোগিতায়জাতীয় পর্যায়েরবিজয়ীরা পরবর্তীতেআঞ্চলিক পর্যায়েঅংশগ্রহণকরবেন। এই পর্যায়েকোর্সগুলোয়‘থিওরিঅ্যান্ডল্যাবএক্সামিনেশন’ (তত্ত্ব ও ল্যাব)এরওপরগুরুত্বদেয়াহবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন ল্যাবে কাজ করে ন্যাশনালও রিজিওনাল রাউন্ডে যা শিখেছেনসেদক্ষতাপ্রমাণকরে দেখাবেন। প্রতিটি দলে তিনজন সদস্য এবং একজন প্রশিক্ষকনিয়েআঞ্চলিক পর্যায়েএকটি দলগত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিতহবে। হুয়াওয়ের সমন্বয়েএসবটিমগঠন করা হবে। এইরাউন্ডের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে, শিক্ষার্থীরা চীনেরক্যাম্পেসরাসরিযোগ দিতে পারবেন। সেখানে তাঁরা আইসিটি, এআই, ক্লাউড, নেটওয়ার্ক সল্যুশন্সপ্রভৃতিউন্নতপ্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও (প্রধাননির্বাহীপরিচালক) প্যান জুনফেং বলেন, “একসমীক্ষায়উঠেএসেছে২০৩০ সালেবিশ্বে ৪৭ মিলিয়ন প্রযুক্তি প্রতিভার ঘাটতি থাকবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হুয়াওয়ে সবসময় আমাদের তরুণ প্রজন্মের আইসিটি জ্ঞান বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করে। বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট জাতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আইসিটিতে দক্ষ তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন দায়িত্বশীল সহযোগী হিসেবে, হুয়াওয়ে সবসময়ই এক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ণঅবদান রাখার চেষ্টা করে। ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২০২৪’ এসবউদ্যোগেরমধ্যে একটি। আমি আশা করি এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটিদক্ষতাবৃদ্ধিতেঅবদানরাখবে।”

রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণের নিয়মাবলীপাওয়াযাবে এ সাইটে- https://tinyurl.com/y8tpfc92 । আরও তথ্যের জন্যঅংশগ্রহণকারীরা হুয়াওয়েবাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ এবং হুয়াওয়েআইসিটিএকাডেমির ওয়েবসাইট (https://e.huawei.com/en/talent/ict-academy/#/home)ভিজিট করতে পারেন।

হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতাটি আইসিটিখাতের বিভিন্ন সহযোগীরঅংশগ্রহণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ আইসিটিট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। চলতি বছরের এ ইভেন্টে বিশ্বের৮০টি দেশের ২৩০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএকলাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।