সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উষ্ণ থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তা অনেকটায় কমে এসেছে। সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলা এবং ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় এই দূরত্ব তৈরি হয়।
আমেরিকান ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিকে বৃহস্পতিবার সৌদি যুবরাজের একটি সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
বাইডেন তার ব্যাপারে ভুল বোঝেন কী না জিজ্ঞাসা করা হলে প্রিন্স সালমান বলেন, সোজা কথায় তাতে আমার কিছু আসে যান না। সত্যিই তার পরোয়া করি না। বিষয়টি বাইডেনের ওপর নির্ভর করছে। তার উচিত নিজ দেশের স্বার্থ নিয়ে ভাবা।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইঙ্গিত করে যুবরাজ আরও বলেন,‘আমেরিকায় গিয়ে যেমন আমি ওনাকে জ্ঞান দিতে পারব না, তেমনি সৌদিতে এসেও উনি আমাকে জ্ঞান দিতে পারবেন না।’
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাইডেন প্রিন্স সালমানের বাবা কিং সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইডেন সরাসরি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে অস্বীকার করেছেন বলে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে। মূলত জামাল খাশোগিকে হত্যার পর থেকে প্রিন্স সালমানকে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে একজন আগন্তুক হিসেবে মনে করা হয়।
বাইডেনের কথাতেও এর ইঙ্গিত মিলেছে। গত অক্টোবরে কারো নাম উল্লেখ না করে বাইডেন জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে তারা আমার সঙ্গে কথা বলল কী না সে ব্যাপারে আমি চিন্তিত নই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘স্থায়ী, ঐতিহাসিক’ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করা রিয়াদের লক্ষ্য বলে এ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রিন্স সালমান।
