বাজারের অবৈধ সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক সরকারী দল : একটি পণ্যেরও দাম কমেনি— রিজভী

আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪
0
file photo

বিএনপি সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বিবৃতিতে বলেছেন, ফ্যাসিষ্ট সরকার বিগত ১৬ বছরে কখনোই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেনি। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সরকার।

গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বিবৃতি প্রদান করে এসব মন্তব্য করেছেন।
রিজভী বলেছেন, ”বাজরে সব নিত্যপণ্যের দর অস্বাভাবিক, টালমাটাল। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজিতে, এর বাইরে গত বছরের তুলনায় আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশি) ৬০ শতাংশ, পেয়াঁজ (দেশি) ১৮৩.৩৩ শতাংশ, পেয়াঁজ (আমদানি) ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে সরকারি দলের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ভোক্তাদের জীবন চরমভাবে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ”

দ্রব্যমূল্যের লাগাতার উর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং সরকারের প্রতারণাপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পবিত্র এ রমজানেও তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে মানুষ আজ দিশেহারা। ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক। ফ্যাসিষ্ট সরকার বিগত ১৬ বছরে কখনোই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেনি। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সরকার।

কয়েকদিন আগে সরকার গরুর মাংস, দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাজারে তারা ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা বাজারে নেই। বেঁধে দেওয়া ২৯টি পণ্যের দামতো কমেইনি বরং বেড়েছে। ফলে সরকারের এইসব তৎপরতা যে জনগণকে কেবল ধেঁাকা দেয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, জনগণ এইসব প্রতারণা বূঝে ফেলায় সরকারি দলের নেতারা এখন ন্যাক্কারজনকভাবে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির দায় বিরোধীদলের উপরে চাপাতে চাইছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ডামি সরকার অপপ্রচার, অপবাদ আর হুমকির আশ্রয় নিয়েছে।

ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার চোখ রাঙিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষোভকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে। জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সকল অন্যায়—অবিচারের মূল কারণ জবাবদিহিতা বিহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদগ্র আওয়ামী বাসনা। সুতরাং জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক, লুটেরা ও প্রতারক ডামি সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে জনগণকেই এই মূহুর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”