বানিয়াচংয়ের আলোচিত কামাল হত্যা মামলার ৪জন চিহ্নিত আসামী ১৫ মাসেও গ্রেফতার হয়নি

আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের হলদার পুর গ্রামের শ্রমিকলীগ নেতা ৪ সন্তানের জনক কামাল মিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামী চেয়ারম্যান হাবিবুর সহ ৪ জন চিহ্নিত আসামী৷

এ নিয়ে নিহতের পরিবারে হতাশা বিরাজ করছে৷ এ বিষয়ে হলদার পুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজ মিয়া সাংবাদিকদের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান ও মামলার এজাহারে উল্লেখঃ বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের হলদার পুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র ও শ্রমিকলীগ নেতা কামাল মিয়া হত্যাকান্ডের ১৫ মাস অতিবাহিত৷ জানা যায়,
একই উপজেলার৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যন হাবিবুর রহমানের বিপক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছিলেন কামাল মিয়া। সিরাজ মিয়া বলেন, এরই জেরধরে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার চাচাতো ভাই কামাল মিয়াকে ভোট কেন্দ্রে লোকজন দ্বারা হামলা চালিয়ে আহত করেছিলেন ।এবং এরই রেষারেষিতে আমার আরেক চাচাতো ভাই ইসলাম উদ্দিনকেও খুন করা হয় ২০১৭সালে৷ তৎকালীন সময়ে ইসলাম উদ্দিন হত্যা মামলাটি কামাল মিয়া পরিচালনা করতেন৷ এরই জেরধরে কামাল মিয়াকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি দিতো হাবিবুর রহমান ও তার লাটিয়াল বাহিনী ।কামাল মিয়ার ভাই ইসলাম উদ্দিনের হত্যার বিচার পেতে অবিচল থাকলে তাকেও খুন করে ফেলা হবে এই মর্মে হুমকি দেওয়া হতো। পরিশেষে হাবিবুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে দিনদুপরে ফিল্মি স্টাইলে হঠাৎ ২০২০ সালের ২২ জুলাই বিকেল অনুমান ৬টা ২০ মিনিটের সময় হবিগঞ্জ – নবীগঞ্জ সড়কের শিবগঞ্জ বাজারের উত্তরে প্রফেসর ডাঃ এম,এ খালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বে মেইন রোডে একটি জানাজার নামায পড়ে ফেরার পথিমধ্যে
কামাল মিয়ার মোটর সাইকেল গতিরোধ করে আটকে কামাল মিয়াকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন হাবিবুর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ।

এঘটনায় নিহত কামাল মিয়ার স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী রাজনা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এমন জঘন্য বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় তৎকালীন সময়ে তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক প্রকাশ করেন বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন, ও হবিগঞ্জ লাখাই আসনের মাননীয় সাংসদ জননেতা আলহাজ্ব এডভোকেট আবু জাহির সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷ জেলাব্যাপী এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুনীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানায় বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন মহল৷ পরিশেষে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আলোচিত কামাল হত্যা মামলার চার্জশীট বিগত ৩০ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন৷উক্ত মামলার চার্জশিট ভুক্ত ১নং পলাতক আসামী হত্যাকান্ডের মূল নায়ক বহিস্কৃত বড়ইউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান(৩৮), ৩ নং আসামী ফারক মিয়া (৪৪) পিতা মৃত হাজী উসমান গনি,
৫নং আসামী রফিক মিয়া(৩০),পিতা মৃত রাজা মিয়া ও ১৯ নং আসামী তাহির মিয়া(২৪) পিতা মৃত আব্দুল কাদির, উল্লেখিত আসামীরা এখনো রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ এদিকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন নিহত কামালের পরিবার৷ তারা
নিহত কামাল মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গতিতে গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তি ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন৷ ৷