বারি’র কৃষি বিজ্ঞানীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি:উচ্চতর গ্রেড প্রদান ও নতুন পদ সৃজন সহ বিভিন্ন দাবীতে আল্টিমেটাম ও আন্দোলন

আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কৃষি বিজ্ঞানীরা এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। গত তিনদিন ধরে তারা প্রতিদিন দুইঘন্টা করে কর্মবিরতি এবং অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃজন সহ বিভিন্ন দাবীতে এ কর্মসূচি পালন করছেন বারি’র কৃষি বিজ্ঞানীরা।

বুধবার বারি’র কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রতিষ্ঠানের বঙ্গবন্ধু চত্তরের সামনে কর্মবিরতি এবং অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশে বারি বিজ্ঞানী সমিতির (বারিসা) সভাপতি ড. সুজিত কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ৯ম গ্রেডভুক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকারী বিজ্ঞানীগণ বারি কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৩ টি ধাপে উচ্চতর গ্রেডের পদে (উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা- ৬ষ্ঠ গ্রেড, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-৪র্থ গ্রেড ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-৩য় গ্রেড) পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। পূর্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যারা যোগদান করতেন, তারা ৪ বছর পর ৭ম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত হতেন। কিন্তু বর্তমানে সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালের পূর্বে যোগদানকৃত বিজ্ঞানীবৃন্দ যারা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হননি তারা ১০ বছর চাকরিকাল পূরণ সাপেক্ষে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ (দশ) বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে কিন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন নি তারা বারি কর্তৃপক্ষের নিকট ৬ষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির আবেদন করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদেরকে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রদান করা হয়নি। এর পরিবর্তে বারি কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে বিজ্ঞানীদেরকে ৮ম গ্রেড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বারি’র কৃষি বিজ্ঞানীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।

এরপ্রেক্ষিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃজন সহ বিভিন্ন দাবীতে গত ২৯ মার্চ হতে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ পালন শুরু করেন ক্ষুব্ধ বিজ্ঞানীরা। এরপর সোমবার (৩ এপ্রিল) হতে প্রতিদিন দুইঘন্টা করে কর্মবিরতি এবং অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। এ কর্মসূচিতে বারি’র প্রায় সকল বিজ্ঞানীরা অংশ নেন। ওই সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবী মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন তারা। বক্তারা এসময় বলেন, নতুবা ১১ এপ্রিলের পর আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। বারিসার এ দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।

###