বাসা থেকে তুলে নেয়া হলো একসাথে করোনার ‘তিন ডোজ’ নেয়া ফারুককে

আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১
0

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে করোনাভাইরাসের ‘তিন ডোজ’ টিকা নেয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড় এলাকার যুবক ওমর ফারুককে (২৪) মেডিক্যাল টিমের সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে মেডিক্যাল টিম পরিচয়ে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওমর ফারুককে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। বিষয়টি স্থানীয় একাধিক লোক বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিগন্তকে নিশ্চিত করছেন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ওই যুবকের বাড়িতে ভিড় করেন।

ওমর ফারুক ফতুল্লার ভুইগড় এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন প্রধানের ছেলে। তার চার বছরের এক ছেলে সন্তান আছে।এর আগে মঙ্গলবার একই দিনে করোনাভাইরাসের তিন ডোজ টিকা দেয়ার যে খবর সামনে এসেছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

একসাথে তিন ডোজ টিকা নেয়ার খবরটি মিথ্যা ও গুজব বলে দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

ভিসি বলেন, ‘অভিযোগকারী’ টিকাগ্রহণকারী ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টার পাশাপাশি এই ‘অপপ্রচারের’ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছেন বিএসএমএমই ভিসি। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি সংশ্লিষ্টদের ডেকেছিলাম। এক ব্যক্তি তিন ডোজ টিকা নিতে পারেন না। এটা সম্ভব না। কারণ নিবন্ধন দেখেই টিকা দেয়া হয়। এটা ভুল খবর।

তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসার জন্য বলেছি। তিন ডোজ টিকা নেয়া ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা হবে। লোকটি পাগল হতে পারে। তাকে খুঁজে বের করা হবে। সুস্থ মানুষের পক্ষে এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।

ফারুকের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এরপর সারা দিন কোনো খবর না পেলেও সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওমর ফারুক তার মা রহিমা বেগমকে ফোন করে জানান, তিনি হাসপাতালে আছেন, সুস্থ আছেন।

ওমর ফারুকের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, তিন ডোজ টিকা নেয়ার পর তার ভাইয়ের শরীরে হালকা জ্বর ও শরীর ব্যথা হয়েছিল। এছাড়া তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। টিকা নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাকে বিএসএমএমইউতে যাওয়ার জন্য অনেকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তার ভাই ভয়ে ফোন না ধরে পরে ফোন বন্ধ করে রাখেন। পরে বুধবার দুপুরে মেডিক্যাল টিম পরিচয়ে হাসপাতাল থেকে লোকজন এসে তার ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে।