বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিচ্ছে এটাও আ’লীগের একটা প্রতারণা—মির্জা ফখরুল

আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২২
0

নির্বাচনের আগে বিভিন্ন চাপে সরকার বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তারা নিজেদের সভ্য দেখাচ্ছে। তারা দেখাচ্ছে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিচ্ছে। গতকাল আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়নি, আজকেও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারছি। এটাও একটা প্রতারণা। নতুন করে পাঁয়তারা শুরু করেছে ক্ষমতা আসতে যে কোনো ধরনের নির্বাচন দিয়ে।’

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানী তেলের মূল্য অসহনীয় বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের লাগামহীন দাম, বিদ্যুৎতের বিপর্যয়, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে গুলি ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এক পেশাজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কী অবস্থা এখন নতুন করে বলার দরকার নেই। রাস্তায় বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞেস করুন কতো টাকা বাসভাড়া বাড়িয়েছে! রিক্সা চালক, কৃষক,শিক্ষক সবাই কষ্টে আছে…। সবচেয়ে বেশি কষ্ট আছে মধ্যবিত্ত, যারা সইতে পারছেন না। দেশে সুনামি সৃষ্টি হবে, সেই সুনামিতে এ সরকার বিদায় নিবে।

তিনি বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন অনিবার্য। রাজপথ দখল করে জনগণের সুনামিতে ভয়াবহ এই সরকারের পতন ঘটবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্থিতিশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এ সরকার ডাকাতি করছে, চুরি করছে, এদেশের সঙ্গে পাকিস্তানিদের কোনো পার্থক্য নেই এমন অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাংকগুলো লুটপাট করছে, কুইক রেন্টাল ৭৮ হাজার কোটি টাকা বিদুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে, ৭ বছরে জ্বালানি তেলের দাম আমাদের পকেট থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়ে গেছে, বিশ্ব বাজারে এখন দাম কমলেও তারা দাম বাড়িয়েছে।

এতোদিন মেট্রোরেল, ট্যানেল, ব্রিজ ইত্যাদির উন্নয়নের গল্প বললেও এখন উল্টো আইএমএফসহ অনেকের কাছে উল্টো লোন চাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পাচার হয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, এতো টাকা পাচার হলোও কোনো বিচার নেই, অথচ দেশনেত্রী নামে টাকা আত্মসাৎতেন মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দি করে রেখেছে, অথচ সেই টাকা ব্যাংকে রয়েছে, উল্টো সেই টাকা বেড়ে গেছে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, রাশেদ আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।